আদলত আবমাননার মামলায় কুণাল ঘোষের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
আদলত আবমাননার মামলায় কুণাল ঘোষের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। কলকাতা হাইকোর্টে উঠেছিল কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'এটা কি একজন বিচারপতির আচরণ?' এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে হওয়া আদালত অবমাননার অভিযোগর পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, 'প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর – ডাকাত বলে আক্রমণ করছে। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়ে আমি কী করব?' কল্যাণ আরও বলেন, 'আইনজীবী যদি রাজনৈতিক কথা বলেন এবং অন্য প্রতিপক্ষ দলের নেতাদের আক্রমণ করেন তাহলে কি তিনি আদালতের রক্ষাকবচ চাইতে পারেন?' পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের আইনজীবীদের তুলোধনা করেন কল্যাণ।
কল্যাণ আদালতে বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে একসময় মামলা করেছিলেন ফিরদৌস শামিম। তারপর যখন রাজ্যে এদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কপল তখন আবার ফিরদৌস শামিমরা রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা করলেন। কল্যাণের প্রশ্ন মামলাকারীরা তাহলে কী করবেন? ঘটনাপ্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। কল্যাণ আদালতে বলেন, 'একজন প্রাক্তন বিচারপতি সমস্ত বিশ্বাস এবং আস্থা ভেঙেচুরে দিয়েছেন। চেয়ারে বসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেছিলেন ‘কান ধরে তুলে নিয়ে আয়’, এটা একজন বিচারপতির আচরণ?'
কল্যণ আরও বলেন, 'বিচরপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননার ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আইনজীবীদের হেনস্থা কী আদৌ অপরাধমূলক আদালত অবমাননা হতে পারে?' পুলিশের কাছে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা তাও জানতে চান কল্যাণ।
সুপার নিউমারির পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ বিকাশের দুই জুনিয়ার আইনজীবীদের জুতো পর্যন্ত দেখান হয়। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই এরপর এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতিকে অভিযোগ জানানো মাত্রই তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা গ্রহণ করেন। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন আইনজীবী।
