বিস্ফোরক অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে, তাঁর মাসিক আয় ছিল ২০ কোটি টাকা?

যতই তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। আর জি কর কাণ্ডে যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে (CBI) অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcuta High Court)।

যতই তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। আর জি কর কাণ্ডে যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে (CBI) অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcuta High Court)।

ফলে, আর্থিক দুর্নীতির প্রসঙ্গে যাবতীয় তদন্ত করার ক্ষেত্রে সিবিআই-এর আর কোনও বাধাই রইল না। আর ইতিমধ্যেই সূত্রের খবর, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের (R.G Kar Medical College & Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মাসিক রোজগার ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা।

Latest Videos

প্রসঙ্গত, শুক্রবার অষ্টমবারের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় আর জী করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে। এদিকে বৃহস্পতিবার, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ সহ নিহত তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের সঙ্গে সে রাতে যে জুনিয়র ডাক্তাররা ডিউটি করেছিলেন, তাদেরকে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় শিয়ালদহ আদালতে।

সেখানে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের পলিগ্রাফ টেস্ট করার জন্য আবেদন জানানো হয়। ইতিমধ্যেই আর জি করে নিহত তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিশদ বর্ণনা সিবিআইকে দিয়েছে ধৃত সঞ্জয় রায়।

সেই বর্ণনা দেওয়ার সময় তাঁর মধ্যে কোনওরকম অনুতাপ ছিল না বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবে সে প্রতিটি মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছে। সেইসঙ্গে, ধৃতের মোবাইল থেকে প্রচুর পরিমাণে বিকৃত ধরনের পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। সিবিআই অফিসারদের দাবি, ধৃত সঞ্জয় রায় বিকৃত পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায়ের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই দল তাঁর পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে এসেছে।

শুধু তাই নয়, সঞ্জয় রায়কে মানসিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্তের মানসিক বিকৃতি রয়েছে এবং তাঁর পশুর মতো প্রবৃত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। সিবিআই অফিসাররা রীতিমতো অবাক হয়ে গেছেন, কারণ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কোথাও থামেননি তিনি।

তবে এই ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে মুখ খোলেনি সে। তাছাড়া গণধর্ষণ হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়েও তাঁর মুখ থেকে কোনও স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি। আর এরই মাঝে এবার উঠে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাকি মাসিক রোজগার ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। সবথেকে বড় বিষয়, এমনিতেই সন্দীপ ঘোষের নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে শুরু করে চিকিৎসাজনিত বর্জ্য পদার্থের দুর্নীতি, সবক্ষেত্রেই তীর সেই সন্দীপ ঘোষের দিকেই। আর এবার সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের মাসিক রোজগার ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
বিচ্ছেদের পরও ভয়ঙ্কর আক্রমণ প্রাক্তন জামাইয়ের! আতঙ্কে গোটা পরিবার | Hooghly News Today
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি