আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছএ আদালত। শুক্রবার তাঁকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা করান হয়েছিল। সেখানেই ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্যও আবেদেন জানিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর সিবিআই-এর আবেদনে সায় দিয়েছে আদালত। যদিও পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট আদালতে গ্রাহ্য হয় না। কিন্তু তদন্তকারীরা তদন্তের দিশা নির্ধারণের জন্যই এই পরীক্ষা করতে চায় বলেও সিবিআই সূত্রের খবর।
শুক্রবার কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে। বিচারকের চেম্বারেই শুনানি হয়েছে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে হয় শুনানি। যদিও এদিন আদালতের বাইরে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দেয় প্রচুর বিক্ষোভকারী। এই পরিস্থিতিতেই তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
অন্যদিকে সঞ্জয়ের মা এদিনও একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিছুই করেনি। তাঁর ছেলেকে ফাঁসান হয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি সঞ্জয় জেরায় ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবে সঞ্জয়ের ভবানীপুরের বাড়ির প্রতিবেশীদের কথায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার মোটেও ভাল লোক ছিল না। সে মহিলাদের উত্যক্ত করত বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। যা মিলে যায় সঞ্জয়ের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার রিপোর্টের সঙ্গে। ধৃত সঞ্জয়ের সাইকোমেট্রিক টেস্টেও মিলেছে হাড়হিম তথ্য। 'অ্যানিমাল ইনস্টিংক্ট' বা 'হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি'! সাইকোমেট্রিক টেস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোটা পর্বেই সে আবেগহীন অবস্থায় ছিল। অনুশোচনার কোনও লক্ষ্মণও তার মধ্যে দেখা যায়নি। অভিযুক্ত যদি একাধিক হয়ে থাকে, তবে বাকিদের মধ্যেও এই 'প্রবৃত্তি' রয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।