শিয়ালদহ কোর্টের রায়ের পরই সঞ্জয়ের আইনীজী সেঁজুতি বলেন, 'উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব। যে কোনও অভিযুক্ত, যিনি দোষী প্রমাণিত হচ্ছে তাঁর অধিকার থাকে উচ্চ আদালতে আবেদন করার।
আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar case) আইনি লড়াই থামছে না। সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy)বেকসুর খালাস করার জন্য এবার হাইকোর্টে (High Court) যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। নিম্ন আদালত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এই রায় ঘোষণা হওয়ার পরই সঞ্জয়ের আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোনও অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে দোষী প্রমাণিত হলেও তাঁর উচ্চ আদালতে আবেদন করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার থেকেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। তবে পরিকল্পনার জন্য তাঁদের কিছু সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন।
শিয়ালদহ কোর্টের রায়ের পরই সেঁজুতি বলেন, 'উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব। যে কোনও অভিযুক্ত, যিনি দোষী প্রমাণিত হচ্ছে তাঁর অধিকার থাকে উচ্চ আদালতে আবেদন করার। এই আবেদনের পরিকল্পনা করার জন্য সময় নেব।' তিনি আরও বলেন, 'সঞ্জয় নির্যাতিত।' তাঁর কথায়, 'আমরা সঞ্জয়কে নির্যাতিত বলে মনে করছি। হাইকোর্টে যাবই। এটা আমাদের অধিকার। তাঁকে খাসাল করানোর জন্যই যাচ্ছি।' সঞ্জয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন সঞ্জয় রায়কে ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, যদি আদালত মনে করে বিকল্প পথ বন্ধ সেখানেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফাঁসার সাজা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আদালত যদি মনে করে কারাদণ্ড দেওয়ার পরেও কেউ বিপজ্জনক তখনই ফাঁসার সাজা দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি সংশোধনের উর্ধ্বে তাকে সাধারণত ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার প্রথম থেকেই বিচারের দাবিতে সরব ছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনেও তাঁরা সামিল হয়েছিলেন। সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত রয়েছে। এই দাবি করেও তাঁরা সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড বা ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি আরজি করের ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে তাঁদের অভিযোগ ছিল। তাদেরও শাস্তি চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। কিন্তু বিচারক সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায় শোনার পরই তাঁরা আদালতের মধ্যে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন তাঁরা।
শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক আগেই' ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪. ৬৬ ও ১০৩ (১) - এই তিনটি ধরায় দোষী সাব্যস্ত করেছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের জন্য সওয়াল কলেও শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।