মেসির কলকাতা সফরে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ। গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় মেসিকাণ্ডের পর থেকে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। চাপের মুখে পড়ে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। তারপরও থামেনি বিতর্ক। গ্রেফতার গোটা অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্ত। বর্তমানে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? কেনই বা মাঠে হঠাৎ করে এত লোক ভিড় করল সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে ধৃতকে নিয়মিত জেরা করছে পুলিশও।
25
মাঠে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ লোকের সংখ্যা বেশি!
জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরায় চাপের মুখে পড়ে শতদ্রু স্বীকার করে নিয়েছেন যে- গত ১৩ ডিসেম্বর সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির কনসার্টে মাঠেই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ প্রায় ৩০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই বিভিন্ন জনপ্রিয় ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত। তবে সেদিন মাঠে কারা ছিলেন তাদের নাম বলেননি শতদ্রু। সেই বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন ধৃত মূল আয়োজক।
35
কী অভিযোগ করেছেন শতদ্রু
এদিকে পুলিশি জেরার মুখে পড়ে শতদ্রুর অভিযোগ যে, লিয়োনেল মেসি মাঠে প্রবেশ করার মুহূর্ত থেকেই পূর্বনির্ধারিত কার্যসূচি (ফ্লো চার্ট) ব্যাহত হয়ে যায়। নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী মেসিকে চলাফেরা করতে দেওয়া হয়নি। মেসি ও তাঁর দলের বিরক্তির মূল কারণ ছিল বারবার অর্ধেক জড়িয়ে ধরা (হাফ হাগ) এবং অতিরিক্ত সেলফি তোলার প্রবণতা, যার ফলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে মাঠের মধ্যে সেই সময় বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মেসি নিজেও। শতদ্রুর আরও অভিযোগ, সেই সময় মেসি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও স্টেডিয়াম ছেড়ে যাননি। ফলে তাকে আরও কিছুক্ষণ আটকানো যেত। কিন্তু তার আগেই ফ্যানেরা তাণ্ডব শুরু করায় পরিস্থিতি পুরোই হাতের বাইরে চলে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ময়দান।
55
মেসির সফরের পোস্টে নেই কলকাতা!
অন্যদিকে মেসি ভারত ছাড়ার পরই গোটা ইন্ডিয়া ট্যুরের ছবি পোস্ট করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে। আর সেখানে হায়দরাবাদ-মুম্বই থাকলেও নেই কলকাতার ছোঁয়া। শুধুমাত্র মূর্তি উন্মোচনের ছবিটুকুই থেকে গিয়েছে পোস্টে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলারও যে যুবভারতীর ঘটনায় বিরক্ত তা তার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে পুরো স্পষ্ট।