- Home
- World News
- Bangladesh News
- ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি পদ্মাপারে, মসনদ ধরে রাখতে ভোট বানচালের আপ্রাণ চেষ্টা বাংলাদেশে
ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি পদ্মাপারে, মসনদ ধরে রাখতে ভোট বানচালের আপ্রাণ চেষ্টা বাংলাদেশে
Bangladesh Unrest: সময় যত গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে পদ্মাপাড়ের দেশে। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

ফের অশান্ত বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে উত্তাল জাতীয় রাজধানী। দিকে-দিকে হামলা জনরোষের হাত থেকে রেহাই পাইনি সেদেশের সংবাদ মাধ্যমও। ভেঙে ফেলা হয়েছে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ৩২ নং ধানমুণ্ডির বাড়ির অবশিষ্টাংশ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তড়িঘড়ি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। তাতেও অবশ্য নেভানো যায়নি ক্ষোভের আগুন। কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করল না বাংলাদেশের উন্মত্ত জনগণ। ক্রমশ আছড়ে পড়ছে জনরোষ।
ছায়ানটে হামলা
বাংলাদেশের উন্মত্ত জনতার ক্ষোভের আগুন থেকে রেহাই পাইনি সংস্কৃতিকেন্দ্র ছায়ানট। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর অব্যাহত। আছড়ে ফেলা হলো তবলা, হারমোনিয়াম। এমনকি বাংলাদেশের বহু জায়গাতেই বিক্ষোভকারীদের মুখে ছিল শেখ হাসিনা এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান। চট্টগ্রামে ভারতীয় উপদূতাবাস লক্ষ্য করে ঢিল-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। রাত থেকে উপদূতাবাসের সামনে অবস্থানে বসেন ছাত্র-যুবদের একাংশ।
আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম
নৈরাজ্যের বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমও। ডেইলি স্টার, প্রথম আলোর অফিসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। অন্য দিকে, খুলনায় এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর এক যুবককেও পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে কট্টর ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে।
ছায়ানটের দফতরে হামলা
পাকিস্তান জমানায় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের দফতরে হামলা হয় গভীর রাতে। অভিযোগ, কট্টরপন্থী স্লোগান দিতে দিতে সংগঠিত ভাবে মিছিল করে গিয়ে সেখানে হামলা চালানো হয়। চলে তাণ্ডব ও লুটপাট। পুড়িয়ে দেওয়া হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি-বই। ভেঙে ফেলা হয়েছে অসংখ্য বাদ্যযন্ত্রও। বিক্ষোভকারীরা ছিঁড়ে দেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সঞ্জীদা খাতুনের ছবিও। রেহাই পায়নি লালন এমনকি কবি নজরুল ইসলামের ছবিও।
অশান্ত বাংলাদেশের বাড়ছে পাকিস্তানের আস্ফালন
দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর ইউনূস সরকারের বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের আস্ফালন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্যতা যে নতুন করে বেড়ে উঠেছে সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। ১৯৪৭ থেকে ৭১ এর পাক অত্যাচার, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে মিত্র ভারত এখন শত্রু দেশ! জিন্নার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ কি এবার তবে পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার পথে? এটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের সবথেকে বড় প্রশ্ন।

