আরজি কর কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে শিয়ালদহ আদালতে, অভয়ার ধর্ষণ-খুনের প্রথম সাক্ষী তাঁর বাবা-মা
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে প্রথম দুই সাক্ষী হিসেবে।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছ শিয়ালদহ আদালতে। এই মামলায় প্রথম দুই সাক্ষী হিসেবে আদালতে বয়ান নিথিবদ্ধ করা হবে নির্যতিতার বাবা-মায়ের। বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে শিয়ালদহ আদালতে।
এই মামলায় মোট ১২৮ জন সাক্ষী আছে। তার মধ্যে আছে জুনিয়র ডাক্তার, কলকাতা পুলিশ, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকরিকেরাও। ধাপে ধাপে বয়ান নথিবদ্ধ করা হচ্ছে।
দুপুর ১২টা নাগাদ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। সিবিআইয়ের গাড়িতে করেই তারা রওনা দেন।
সোমবার থেকে রোজ আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি চলবে। গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রথমে বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাক থেকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পর হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত ভার যায় সিবিআই-র কাছে। মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ৫৭ দিনের মাথায় শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট জমা পড়ে। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারেরই নাম ছিল।
আরজি কর কাণ্ডের ৮৭ দিনের মাথায় শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ চলবে শুনানি। জানা গিয়েছে, চার্জশিটের ভিত্তিতে আপাতত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
বিচার শুরু হওয়ার মুখেও চলছে বিতর্ক। এদিকে প্রিজন ভ্যান সঞ্জয় রায় দাবি করেছিল সে নির্দোষ। সেই নিয়ে চলছে বিতর্ক।
সঞ্জয় বলেছিল, আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম।
তাঁর দাবি, আসল অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সে যাই হোক, আজ থেকে শুরু হল শুনানি। প্রথম দুই সাক্ষী হিসেবে আদালতে বয়ান নিথিবদ্ধ করা হল নির্যতিতার বাবা-মায়ের।