আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুনের ঘটনার তদন্তে রীতিমত তৎপর সিবিআই। গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশের থেকে নিয়ে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। তারপর থেকেই দিল্লিতে থেকে এসেছিন বিশেষজ্ঞরা। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলে যোগ দিলেন সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। হাথরাস ধর্ষণকাণ্ড নিয়েও গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল।
সীমা পাহুজা- সিবিআই আধিকারিক। হরিয়ানার বাসিন্দা। উত্তর প্রদেশের হাড়হিম করা হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন সীমা পাহুজা। সেই সময়ের তথ্য অনুযায়ী , ২০২০ সালে তিনি ছিলেন ডিএসপি ব়্যাঙ্কের অধিকারিক। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই এজাতীয় রহস্যের সমাধান করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে সীমা সিমলার কোথাকোয়া গণধর্ষণ ও হত্যার তদন্ত করেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি তাঁর কাজের জন্য পুলিশ মেডেল পেয়েছিল।
২০১৮ সালে সবথেকে বেশি রহস্যের জট খোলা ও মামলার সমাধান করা সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। তিনি সেই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক পেয়েছেন। চাকরি জীবনের প্রথমে সীমা গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তিনি অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয় ছিলেন। ২০২০ সালে হাথরসের সিবিআই-এর ১৪ সদস্যের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি গাড়ি থামে নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়ির সামনে। সঙ্গে ছিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর গাড়ি থেকে নেমে সিবিআই-এর দুই মহিলা আধিকারিক সোজা ঢুকে যায় নির্যাতিতার বাড়িতে। এদিন তাঁরা এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন নিহতের বাবা ও মায়ের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই ছিল লাল ডায়েরি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।