যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য বসুর গাড়ি দূষণবিধি ভঙ্গ করেছে, কুণাল ঘোষের নাম তুলে সরব SFI

Published : Mar 02, 2025, 04:10 PM IST
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বামপন্থী ছাত্র সংগঠন, যাদবপুরে বিক্ষোভ, ব্রাত্য বসু, Jadavpur University, leftist student organization, protest in Jadavpur, Bratya Basu,

সংক্ষিপ্ত

এসএফআই দাবি করেছেন ব্রাত্য বসুর গাড়িটির দূষণ সংক্রান্ত নথির পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকও করেছে।

এসএফআই দাবি করেছেন ব্রাত্য বসুর গাড়িটির দূষণ সংক্রান্ত নথির পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকও করেছে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জন্য এসএফআই সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীকেই কাঠগ়ড়ায় তুলেছে। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা কোনও গুন্ডামি করেনি। যা করেছেন তা ব্রাত্য নিজেই করেছেন। 'ব্রাত্য বসু বিক্ষোভরত এক ছাত্রকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।'এমনটাই দাবি আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। তাঁদের কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে শিক্ষামন্ত্রী ঘি ঢেলেছেন।

এসএফআই-এর দাবি গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য জানার একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল রয়েছে। সেই পোর্টালে যে কোনও গাড়ির নম্বর লিখলে তার বয়স, রেডিস্ট্রেশন, জ্বালানির যাবতীয় তথ্য জানা যায়। শুধু গাড়ির মালিকের সম্পূর্ণ নামটি থাকে না। নামের কিছু অংশ থাকে। পোর্টাল অনুাযায়ী গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ নথির বৈধতা ছিল ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর আর নথির পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। আর সেই কারণেই গাড়িটি দূষণবিধি ভঙ্গ করেছে।

গাড়ির মালিকের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে *ইউ*এ* *এইচ*এস*। এসএফআই-এর দাবি এটি কুণাল ঘোষের নামের অংশ। যদিও তা অস্বীকার করেছেন কুণাল। তিনি বলেছেন, তাঁর কোনও গাড়ি সরকারি খাতে ভাড়া খাটে না। তিনি আরও বলেছেন গাড়ির মালিকের নাম ব্রাত্য বসুও জানেন না। কারণ বিভিন্ন সংস্থার গাড়ি সরকার দফতরে ভাড়া খাটে। কুণাল আরও বলেন, তাঁর সম্পর্কে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কথা বলা হচ্ছে।

গতকাল  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারে গোব্যাক স্লোগান দেয়। চোর চোরও স্লোগান তোলে। এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীরা ব্রাত বসুর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেয়। আন্দোলনকারীরা মূলত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্য। এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ-র সদস্যরা ছিল সামনের সারিতে। এদের পাল্টা তৃণমূলের ছাত্ররা মানববন্ধন করে। শনিবার যাদবপুরেরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে ওয়েবকুপার বৈঠক হয়। সেখানেই বৈঠকে যোগ দিতে আসেন ছাত্ররা। বৈঠক শুরু হওয়ার আগে থেকেই পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। কিন্তু বিক্ষোভের জন্য ব্রাত্য বসুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করিয়ে ওপেন এয়ার থিয়েটারের পিছন দিয়ে মঞ্চে তোলা হয়।

 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

'ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাবোই, এটা বাবরের দেশ নয়', কলকাতায় এসে হুঙ্কার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী
Gita Path : 'মুখ্যমন্ত্রী না এসে প্রমাণ করলেন প্রকৃত হিন্দু নন' তোপ শুভেন্দু অধিকারীর