সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের আগে থাকতেই কুণাল ঘোষকে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার এই অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিল দলীয় নেতৃত্ব।
মঙ্গলবারই মেদিনীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। খড়্গপুর সদরে রেল বস্তি সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে সেই ছবি এখনও রয়েছে। কিন্তু দলের রাজ্য সম্পাদক পদে আর নেই কুণাল। বুধবার তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিনই একটি রক্তদান শিবিরে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কুণাল। তিনি তাপসের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে ফের দলীয় প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন কুণাল। এর আগেও তাঁর মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। ফের প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসা এবং দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করার পর পদ হারালেন কুণাল।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও পদেই নেই কুণাল
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এক বিবৃতি জারি করে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা দলের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটা স্পষ্ট করে দেওয়া জরুরি যে এই মন্তব্যগুলি তাঁর ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। একমাত্র সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে জারি করা বিবৃতিই সরকারিভাবে দলের অবস্থান বলে গণ্য করা উচিত। কুণাল ঘোষকে এর আগে দলীয় মুখপাত্রর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁকে রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সব সংবাদমাধ্যমের কাছে আমাদের আর্জি, কুণাল ঘোষের বক্তব্যকে দলীয় বক্তব্য হিসেবে প্রচার করবেন না। সেটা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’
দলের পাশেই কুণাল
দলীয় পদ হারালেও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কুণাল। তিনি বুধবার বিকেলেই লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রচার-কৌশলের প্রশংসা করেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Rajeev Kumar: রাজীব কুমার ইস্যুতে একপক্ষে বিজেপি-সিপিএম, কুণাল কথায় বাংলার মানুষ মমতার সঙ্গে