
Kolkata Police arrested Sharmistha Panoli: 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এক পোস্টের জবাবে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই পোস্টে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি অবমাননাকর ও অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পুলিশে (Kolkata Police) অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুণের এক বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmistha Panoli) গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে এই তরুণীকে কলকাতায় নিয়ে এসে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ১৩ জুন পর্যন্ত শর্মিষ্ঠাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘শর্মিষ্ঠা পানোলি নামে এক মহিলার ইনস্টাগ্রাম ভিডিওর মাধ্যমে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terrorist Attack) পর থেকে দেশজুড়ে পাকিস্তান-বিরোধী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। শর্মিষ্ঠাও সেই মনোভাব থেকেই ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও পোস্ট করে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন। কিন্তু সেই ভিডিওর মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তরুণীকে ধর্ষণ, খুন, ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শুধু পাকিস্তানিরাই নয়, ভারতীয়দের একাংশও শর্মিষ্ঠাকে হুমকি দেয়। এরই মধ্যে এই তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে ভিডিও মুছে ফেলেন শর্মিষ্ঠা। তিনি ক্ষমাও চান। কিন্তু তারপরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি নিয়ে কলকাতা পুলিশের সমালোচনায় সরব হিন্দুত্ববাদীরা। শর্মিষ্ঠা দাবি করেছেন, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে এরকম হতে পারে না। অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত এই তরুণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।