হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯১৩৭০৯১৩৭০। এই নম্বরে ফোন করলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে একটি বার্তা শোনা যাবে। ওই বার্তার পর যিনি ফোন করবেন, তাঁকে নিজের সমস্যার কথা জানাতে হবে।
‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইন চালু করল রাজ্য সরকার। দিদিকে বলো হেল্পলাইন নম্বরেই চালু করা হয়েছে এই নয়া প্রকল্প। রাজ্যের মানুষের অভাব অভিযোগের কথা সরাসরি জানতে চালু করা হয়েছে একটি নম্বর, যেখানে মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য প্রশাসনের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯১৩৭০৯১৩৭০। এই নম্বরে ফোন করলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে একটি বার্তা শোনা যাবে। ওই বার্তার পর যিনি ফোন করবেন, তাঁকে নিজের সমস্যার কথা জানাতে হবে। কিন্তু হঠাৎ এই উদ্যোগ কেন! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী বছর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই আবার নতুন মোড়কে এই কর্মসূচি শুরু করছেন। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি রাজ্যের মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন, এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছে নবান্ন থেকে। এই কর্মসূচির মূলত দায়িত্বে রাখা হয়েছে, আধিকারিক পি বি সেলিমকে। ২০১৯ সালে যখন যখন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল, তখন তা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল ভোটকুশলী প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাক। কিন্তু এ বার রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের হাত দিয়ে এই কর্মসূচি রূপায়ণে পদক্ষেপ করেছেন মমতা।
এই নম্বরটিই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে প্রথম বার ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিজেদের পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই বছর জুলাই মাসের শেষে নজরুল মঞ্চে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলও মিলেছিল ভোটবাক্সে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন মমতা। লাগাতার এই কর্মসূচি চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছিল শাসকদল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে জনসংযোগে নয়া কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। নাম, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। এই কর্মসূচিতে 'দিদির দূত' গ্রামে গ্রামে গিয়েছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতারা। সঙ্গে 'দুয়ারে সরকার' আর 'পাড়ায় সমাধান'।