
২১ জুলাইয়ে বড় স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। 'নতুন বিধি চালু করার ক্ষমতা স্কুল সার্ভিস কমিশনের রয়েছে।' এসএসসি মামলায় এমনটাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'আমরা কখনই বলিনি যে কোন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। আমরা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই নিয়োগ করতে হবে এমনটাও বলিনি। চিহ্নিত অযোগ্যরা কী করে উপকৃত হবে? তাদের চাকরি তো বাতিল করা হয়েছে।' সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যে স্পষ্ট ২০২৫ সালের নয়া বিধিতেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টে হস্তক্ষেপ করবে না বলেও পর্যবেক্ষণ কোর্টের।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, 'চিহ্নিত অযোগ্যরা এমনই বাদ হয়ে গিয়েছে। তারা পরীক্ষায় বসছে না। যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা পরীক্ষ বাড়তি সুযোগ পেলে ক্ষতি কী? তাদের তো পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।' সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশ চন্দ্র শর্মন স্পষ্ট করে জানিয়েদেন, এখনকার পরিস্থিতিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। কোর্ট বলেছে, যারা দুর্নীতি করেছে তারা বাদ পড়ছে। যারা নিষ্পাপ তারা বাড়তি সুযোগ পেলে সমস্যা কোথায়? এরপরই মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি চান মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এতক্ষণ শুনানির পর আমরা অনুমতি দিতে পারব না। সুপ্রিম কোর্ট ভাগ্যের পরীক্ষা করার জায়গা নয়। কোথাও না কোথাও এই মামলাকে থামতেই হবে'।
এর আগে. SSC-র নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, SSC-র নতুন বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ বিধি মেনেই হবে এসএসসি পরীক্ষা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।