
২০১১ সালে কলকাতার ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। বেসমেন্টে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে যায় বলে জানা যায় তদন্তে। তাতে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়। তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা পৌঁছয় আদালতেও।
ভোররাতে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ১৬০ জন রোগী। আইসিইউ-তেই এর মধ্যে ছিলেন প্রায় ৫০ জন। এই অগ্নিকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল হাসপাতালের সামনে সরু রাস্তা এবং যানজট।
এরপরও একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে শহরে। গত বছর কসবার অ্যাক্রোপলিস মল, তার আগে সূর্যসেন লেনের মার্কেট, তারও আগে স্ট্যান্ড রোড এবং শিয়ালদহ মার্কেটেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। শহরবাসীর মতে, প্রতিটি ঘটনার পর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায়ি নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলাও হলেও বাস্তবে তা কার্যকরী হয় না কেন?
এদিকে, বড়বাজারের স্থানীয়রা বলছেন, দমকল বাহিনী পৌঁছলেও অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ততক্ষণে হোটেলের ভেতর যেন অগ্নিপুরী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মধ্য কলকাতার মেছুয়ার ফলপট্টির ওই হোটেলে আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তা পুরোপুরি নেভাতে পারেনি দমকল বাহিনী। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।
ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে ওই দলে ১১ জন রয়েছেন। তাঁরাই তদন্ত করছেন। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির ওই হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল, যার জেরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।