
কলকাতাতেই এবার দেখা মিলল এক অভিনব মেলার। ‘বেকার মেলা'-র আয়োজন করলেন ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এই মেলায় কেই ভাজলেন চপ, কেউ চায়ের দোকান তো কেই বেচলেন ঘুগনি মুড়ি। এক অভিনব প্রতিবাদ জানালেন একদল বেকার যুবতী । যা নিয়ে দিনভর চর্চায় থাকলেন অনেকেই।
প্রতিবাদ চমক আনতে চাকরিপ্রার্থীরা নাম দিয়েছেন ‘বেকার মেলা’ । সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণের কাছেই বিকাশ ভবন সংলগ্ন ইন্দিরা ভবনের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে এমন মেলার দেখা মিলল। মূলতঃ প্রতিবাদের নয়া কৌশল হিসেবে এই মেলার আয়োজন করেছেন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা।
দিনভর এই মেলার স্বপক্ষে বিপক্ষে নিয়ে উঠল নানা কথা। সরগরম হয়ে উঠল রাজনৈতিক মহলও। মূলত ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদেরকেই এই মেলায় অংশ নিতে দেখা গেল। শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের নোটিশের দাবিতে তারা পথে নেমেছেন। নানা উপায়ে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন তারা । তবে এবার বেকার মেলার আয়োজন করে সকলকে চমকে দিয়েছেন । সকলেই বলছেন এ হলো প্রতিবাদের অভিনব কৌশল। এই মেলায় চারকিপ্রার্থীরা চপ ভেজে বিক্রি করলেন। কেউ ঝলমুড়ি বানালেন। পাঁপড় ভাজা , ছোলা মুড়ি , ঘুগনি কি না ছিল এই বেকার মেলায়। আর এইভাবেই প্রতিবাদ জানালেন শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলল তাঁদের এই কর্মসূচি।
এক চাকরিপ্রার্থী ক্ষোভ উগরে দিয়েই বললেন, আমরা টেট পাশ করে বসে আছি ২০২২ সাল থেকে । কিন্তু, মেলেনি চাকরি । মুখ্যমন্ত্রী চপ শিল্পের কথা অনুসরণ করে আমরা আজ চপ ভাজছি। আর একজন চাকরিপ্রার্থী বললেন, দিদিকে বলছি এভাবে আর পারা যাচ্ছে না। শিক্ষা দফতর খোলা রাখার কী দরকার নেই বন্ধ হয়ে যাক না। মানুষের জন্য তো শিক্ষা দফতর । আর তা যদি মানুষের যদি কল্যাণ না হয় তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হোক এই দপ্তর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।