
এবছর বেশ কড়া পদক্ষেপ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল ২০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর । পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ২০ জন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে, তাই তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবছরের মতো। নিয়ম অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হয় পর্ষদ থেকে।
এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। ছাত্রীর সংখ্যা এবারও ছাত্রদের তুলনায় বেশি বলেই জানায় পর্ষদ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছর ছিল ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩। ছাত্রদের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ এবং ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কড়া ব্যবস্থা ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। তারপরও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসে একের পর এক। পর্ষদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট সহ কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পরলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধিভঙ্গের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ২০ জন পরীক্ষার্থীর । এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর । শেষ পরীক্ষার দিনে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি ৩ জনকে।
এবছর মাধ্যমিকে নকল করতে AI অ্যাপের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেন শিক্ষকরা। তার হাইটেক বুদ্ধি দেখে অবাক হয়ে যান তারা। অংক পরীক্ষা তার কারসাজি দেখে চমকে ওঠে অনান্য পরীক্ষার্থীরাও। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র সকলের নজর এড়িয়ে ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে AI অ্যাপ ব্যবহার করে উত্তর লিখতে শুরু করে। প্রথমে মনে করা হয়, বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরেই বোঝা যায় সে টুকলি করছে হাইটেক পদ্ধতিতে। এ বছরের মাধ্যমিকে ১৯টি মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচ-সহ পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে AI অ্যাপ ব্যবহারের ঘটনাটি যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে শিক্ষামহলে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।