পরিসংখ্যান বলছে বৃহস্পতিবারই মালদা জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। এর আগে ৬ মে-র দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে।
তীব্র দহনজ্বালার পরে বৃষ্টি নামলে তা স্বস্তির বইকি। তা মনের আরাম, প্রাণের শান্তি। কিন্তু বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যদি ফাউ হিসেবে আসে বজ্রপাত! তাহলে সে বৃষ্টি আর স্বস্তির থাকে না। বরং স্বস্তির জায়গা করে নেয় আতঙ্ক। মৃত্যুর আতঙ্ক। পরিসংখ্যান বলছে বৃহস্পতিবারই মালদা জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। এর আগে ৬ মে-র দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে।
গত কয়েক মাসে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন একাধিক মানুষ। বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু মিছিল নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরাও। কী কারণে, এত বেশি বজ্রপাত হচ্ছে? তাঁরা বলছেন মূলত দূষিত পরিবেশ থেকে শুরু করে বৃক্ষচ্ছেদন, পরিবেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। বাতাসে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি বাড়তি সম্ভাবনা যোগ করেছে বজ্রপাতের। যে কারণে বাংলায় বিগত দিনের থেকে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়েছে। মূলত, বাংলার দক্ষিণ এবং পশ্চিম অংশেই বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি।
কিন্তু ভয়টা সেখানে নয়। আতঙ্ক অন্য জায়গায়। আমরা চাইলে কিন্তু বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমাতে পারে। দাবি করছে সোশ্যাল মিডিয়া। এখানে রাজ্য সরকারের গাফিলতির বিষয়টি তুলে ধরছে তাঁরা। কী বলা হচ্ছে! ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখলে অন্তত ৫ দিন আগে থেকে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় হলুদ, কমলা সতর্কতা জারি করা হয়। এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, গত কয়েক বছরে হাওয়া অফিসের সেই কাজে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হয়নি। রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাজ, সেই পূর্বাভাস সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা। বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করা। কী করবেন, কী করবেন না, সেটা বলা। প্রশ্ন হচ্ছে এই কাজটা ঠিক করে হচ্ছে কী! আদৌ কি সেই সচেতনতা বার্তা মানুষের কাছে যাচ্ছে।
বজ্রপাত হতে পারে, সেই বার্তা দিয়ে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়, তার ব্যাখ্যা আর কবে দেবে রাজ্য সরকার, জানতে চাইছে সোশ্যাল মিডিয়া। কবে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা জাগে আর বজ্রপাতে দু চারটি প্রাণহানি কম হয়, সেই আশা নিয়েই রয়েছেন মানুষ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।