শেষকৃত্যের দিন শ্মশানে যা ঘটেছিল সবই জানিয়েছেন তিনি। পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারের পরিবার ওই দিন শ্মশানে হস্তক্ষেপ করেননি।
আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার খুনের রহস্য আরও ক্রমশ জটিল করছে। আরজি করের ডাক্তার হত্যা মামলায় নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তড়িঘড়ি করে মেয়ের মৃতদেহ তুলে নিয়ে পানিহাটি শ্মশানে দাহ করেছে। এখন এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন শ্মশানের ম্যানেজার। শেষকৃত্যের দিন শ্মশানে যা ঘটেছিল সবই জানিয়েছেন তিনি। পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারের পরিবার ওই দিন শ্মশানে হস্তক্ষেপ করেননি।
পুলিশ পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্রকে আগেই জানিয়েছিল যে স্থানীয় একটি মেয়ের মৃতদেহ আসবে। তবে ততক্ষণে শ্মশানে কর্মরত ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীরাও টিভি দেখে হাসপাতালের ঘটনা জানতে পেরেছেন। যেদিন লেডি ডক্টরকে দাহ করা হয়, সেদিন শ্মশানে ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। লাশ আসার আগেই শ্মশান এলাকায় মানুষের ভিড় বেড়ে যায়।
শেষকৃত্যের সময় স্থানীয় বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনীও উপস্থিত ছিল। ইতিমধ্যেই শ্মশানে দুটি মরদেহ এসে পৌঁছালেও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথমে লেডি ডাক্তারের লাশ দাহ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো এলাকায় ভিড় থাকায় পুলিশ বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন ম্যানেজার ভোলানাথ বাবু। এছাড়াও তিনি এবং শ্মশানের অন্যান্য কর্মীরা শোকাহত পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে লেডি ডাক্তারের মরদেহের শেষকৃত্য করতে আসা দুই লাশের স্বজনদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্র দাবি করেছেন যে নিহতের মৃতদেহ প্রথমে দাহ করা হয়েছিল কারণ মৃতদেহের উভয় আত্মীয় এতে সম্মত হয়েছিল। এলাকার বাসিন্দা লেডি ডাক্তারের সঙ্গে যে নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ভোলানাথ বাবু। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের লাশ পাওয়া যায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হত্যার আগে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।