অবাক কাণ্ড! সোমবার আচমকাই কলকাতা পুলিশের বড় কর্তারা গিয়েছিল আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের কর্তারা। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা অভিজিতের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এসেছেন। পরিবারের সদস্যদের কথা বলে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলেন। অভিজিতের স্ত্রী জানিয়েছেন, সিবিআই তাঁকে ফোন করে স্বামীর গ্রেফতারের খবর দিয়েছিল। কিন্তু অ্যারেস্ট মেমোর জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিল।
টালা থানার প্রাক্তন ওসি সার্ভেপার্ক থানার দেবযানী ইনক্লেভ নামে একটি বহুতলে থাকতেন। সেখানেই থাকত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিজিতের বাড়িতে এদিন গিয়েছিল কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমান নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) বিদিশা কলিথা ।
কলকাতা পুলিশের বর্তব্যঃ
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা অভিজিতের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এসেছে। স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কলকাতা পুলিশ সবরকম পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সদস্যরা আরও জানিয়েছে, টানা থানার ওসির কোনও দোষ নেই। ওসি স্পটে দ্রুত পৌঁছেছিলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনা সেনসেটিভ ক্রাইম। আরজি করের কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের অনুরোধ মেনেই কাজ করা হয়েছিল। এটাই ওসির কাজ ছিল। সেই কাজ ওসি ভালভাবেই করেছে। কলকাতা পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশ একটি পরিবারের মত। তাই তারা সকলেই ধৃত ওসির পাশে রয়েছে।
সঙ্গীতা মণ্ডলের বর্তব্যঃ
সঙ্গীতা অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী। তিনি বলেছেন, স্বামীর গ্রেফতারির খবর সিবিআই তাঁকে ফোন করে দিয়েছিল। অ্যারেস্ট মেমোর জন্য তাঁদের প্রায় তিনঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন তিনিও আরজি করের নির্যাতিতার বিচার পাক। কিন্তু তাঁর স্বামী এই ঘটনার তদন্তে নেমে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের কর্তারা তাঁর ও পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।