মডেলিংয়ের অফার দেখিয়ে নারী পাচার! সাইবার জালিয়াতির নতুন 'ফাঁদ' থেকে সাবধান করল লাল বাজার
মডেলিংয়ের টোপ দিয়ে নারী পাচার! হুবহু যেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট। মডেলিংয়ের টোপ দেখিয়ে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে মেয়েদের। নীদের বন্দি করে তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া সাইবার ব্ল্যাকমেলের ফাঁদেও পড়ছেন তারা।
ইতিমধ্যেই সেই ছোঁয়া লেগে গিয়েছে কলকাতাতেও। লালা বাজারের গোয়েন্দাদের হাতে পড়েছে বিশেষ সাইবার জালিয়াতির হাব। কম্বোডিয়ার সাইবার জালিয়াতির একটি নতুন 'হাব' এর খোঁজ পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বিদেশে পাতা এই পাঁদেই পা দিচ্ছেন কলকাতার বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, এই দেশে সব থেকে বেশি এই ধরনের জালিয়াতি হত রাজস্থানের ভরতপুরে। তবে বেশিরবাগ ক্ষেত্রে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিত জালিয়াতরা। এ ছাড়া রেকর্ড করা মহিলাদের ভিডিও কাজে লাগাতো তারা।
তবে এই নতুন ফাঁদে বিভিন্ন রাজ্যের সুন্দরাী মেয়েদের ব্যবহার করা হচ্ছে। টোপ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জালিয়তরা। বিদেশে মডেলিংয়ের চাকরি করে প্রচুর টাকা মাইনে আছে বলে টোপ দেন তারা। একবার কম্বোডিয়ায় পৌঁছালেই চাকরি মিলবে। এ ছাড়াও তাদের বলা হয় যে চিন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ডে তাঁদের বিভিন্ন সময় মডেলিং ও ফ্যাশন শোয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের পাঠান হয় নকল চাকরির লেটার ও ভিসা।পর্যটনের নাম করেই কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েদের। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাঁ চকচকে অফিসে। অফিসের কর্মকাণ্ড দেখে প্রথমে তাঁরাও বুঝতে পারেন না যে, সেগুলি আসলে ভুয়ো কল সেন্টার।
এরপর তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে জোর করে তাদের সেক্সটরশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এদের প্রতারণা করতেও শেখানো হয় ও টার্গেট দিয়ে দেওয়া হয়। টার্গেট পূরণ না হলে তুমুল অত্যাচার চালান হয় তাদের উপর। এমনই জানিয়েছেন ওই ফাঁদ থেকে পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন নির্যাতিতা।
এ প্রসঙ্গে কম্বোডিয়ার মতো যে কোনও দেশে এই ধরনের চাকরি পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে বলেছেন লাল বাজারের পুলিশ। এ ছাড়া মহিলারা বিদেশে মডেলিংয়ের অফার পেলেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।