
এই বছর পুজোর অনুদান বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাবগুলির ফায়ার লাইসেন্স সহ সব কর মকুব করেছে রাজ্য সরকার। পুজো কমিটি পিছু গতবার ৭০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান। বিদ্যুতের ছাড় দেওয়া হয়েছে। গতবার বিদ্যুতের ছাড় দেওয়া হয়েছিল ৬৬ শতাংশ। এবার ছাড় দেওয়া হয়েছে ৭৫ শতাংশ।
অক্টোবরের ৯ তারিখ মহাষষ্ঠী। সুতরাং হাতে বাকি আর ৭৬ দিন। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর ঘোষণার পরে আরও খুশি ক্লাবের কর্মকর্তারা। এ বছর কার্নিভাল হবে ১৫ অক্টোবর। শুধু তাই নয়, পরের বছর থেকে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান মমতা।
এরই সঙ্গে মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠকে ফের কড়া প্রশাসকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল মমতাকে। এইদিন তিনি মঞ্চ থেকে বলেন 'এখন প্রচুর পুজো হয়। দুর্গাপুজোর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। বাংলায় প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো ক্লাবগুলি করে। পুজো এবার আগে এসেছে। আগাম সিদ্ধান্ত নিলে অঘটন ঘটবে না। প্রশাসন সহায়তা করবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুজিত বোসকে উল্লেখ করে বলেন, 'একটা শ্রীভূমির পুজোর জন্য গোটা বিমানবন্দর স্তব্ধ হয়ে যায়। সেটা যেন না হয়, সেটা দেখতে হবে।' এই কথাটা শেষ করেই তিনি সজল ঘোঘের নাম না করে জানান, ' কেউ কেউ উত্তর কলকাতার আছেন, যাদের পুজোর জন্য রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যায়।' মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, 'মনে রাখবেন পুজো কিন্তু রাজনীতির বাইরে। দুর্ঘটনা ঘটলে সেই পুজো কিন্তু ব্ল্যাকলিস্ট হয়ে যাবে।'
এদিন তাঁর কড়া নজরে পড়েন সুজিত বোস। তিনি এইদিন মঞ্চ থেকে আরও একবার সুজিত বোসকে ধমকের সুরে সতর্ক করে বলেছেন 'একটি মাত্র পুজোর জন্য যেন রাস্তা বন্ধ না হয়ে যায়।' ধমকের সুরে এও জানান যে, 'পুজোর কোনও প্রভাব যেন বিমানবন্দরে না পড়ে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।