আরজি করের নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল, ধর্ষণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই রহস্য আরও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত খুন ও ধর্ষণের মোটিভ স্পষ্ট নয়। তারই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এখনও অন্ধকারেই রয়েছে সিবিআই। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে রহস্যের ঘনঘটা।
সিবিআই তদন্ত
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে আরজি কর কাণ্ডে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারেনি। বলতে পারেনি খুনের মোটিভ।
বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার
এরই মধ্যে আরজি কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। তাঁর অনুমান ধর্ষণ করা হয়নি।
উপন্দ্রনাথ বিশ্বাসের দবি
প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের অনুমান আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। কিন্তু শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা চিকিৎসকদের হাত
প্রাক্তন সিবিআই কর্তার অনুমান আরজি কর কাণ্ডে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা চিকিৎসকরা যুক্ত রয়েছেন। তাদের হাতে রয়েছে এমন ভয়ঙ্কর অপরাধ।
প্রাক্তন কর্তার দাবি
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাক ও গলা চেপে ধরে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট। যৌনাঙ্গে এমন কিছু একটা প্রবেশ করানো হয়েছে যা থেকে মনে হয় ধর্ষণ।
চশমা নিয়ে দাবি
প্রাক্তন সিবিআই কর্তার দাবি, চশমা নির্যাতিতার চোখেই ছিল। ঘুম এসে মানুষ চশমা খুলে রাখে। আর ধর্ষণ হলে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় চশমা এমনিতেই খুনে যাবে। তাই তাঁর অনুমান নিখুঁত পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে।
অসম্ভব কষ্টে মৃত্যু
আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে অসম্ভব কষ্ট পেয়েছ। সিবিআই-এর প্রাক্তন কর্তার দাবি একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। একাধিক জন যুক্ত এই অপরাধে।
জুনিয়র-সিনিয়র ডাক্তার
আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের যোগসাজশ রয়েছে বলেএ অনুমান করেছেন তিনি। তিন থেকে চার জন মিলে খুন করেছে বলেও অনুমান তাঁর।
সুক্ষ্ম জিনিসের আঘাত
প্রাক্তন সিবিআই কর্তার অনুমান, নির্যাতিতার দেহের আঘাত চোরা বা কাচি দিয়ে করা হয়নি। সূক্ষ্ম জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তাতেও তাঁর অনুমান এই ঘটনা অনেকে মিলেই ঘটিয়েছে।
ক্রাইম সিন
প্রশ্ন রয়েছে ক্রাইম সিন নিয়েও। প্রাক্তন কর্তার অনুমান অন্যত্র খুন করে দেহ আরজি করের সেমিনার রুমে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের
নির্যাতিতার অভিভাবকরাও বলেছেন, যখন তাদের মেয়েকে দেখতে দেওয়া হয়েছিল দেখে মনে হয়েছিল চিকিৎসক ঘুমিয়ে রয়েছে। তাঁরাও দাবি করেছেন ক্রাইম সিন অন্যত্র। একই দাবি করছে সিবিআই।