
Crime News: শহরে ফের উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে বেআইনি অস্ত্র। খাস কলকাতার আনন্দপুর এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) আনন্দপুর থানার অন্তর্গত ননদাঙ্গা রোডে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আজিজ মোল্লা (৩৬) এবং ময়না মাঝি (৩২) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত আজিজ মোল্লা হুগলীর পান্ডুয়ার কাজী মহল্লা এলাকার বাসিন্দা। ময়না মাঝির বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ১০টি হাতে তৈরি একনলা বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এসটিএফ থানায় উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করা হবে এবং ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে এই বিষয়ে রবিবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ STF-এর কাছে এই আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাপারে খবর আসে। তারপরই আনন্দপুর এলাকা থেকে দুজন সন্দেহভাজনকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযুক্তরা ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথা থেকে এনেছিল এবং সেগুলি কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, পাচারের উদ্দেশ্যে ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় চরম আতঙ্কে পরিবার। অবশেষে থানার দ্বারস্থ হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত মাতালগড় লিচুবাগান পাড়া এলাকার। লিচুবাগান এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু দাস। তার ১৩ বছরের এক নাবালিকা মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে সে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তার এক বান্ধবীর জন্মদিনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পরে সেই বান্ধবী ওই নাবালিকার বাড়ির যে ফোন সেই ফোনে দীর্ঘক্ষণ মেসেজ করতে থাকে। এরপরেই ওই নাবালিকার মায়ের সন্দেহ হয়। তখন তার মেয়ের বান্ধবীকে ফোন করে বলে তুই কেন এসএমএস করছিস তোর জন্মদিনের উপলক্ষে তো বাড়ি থেকে বের হয়েছে আমার মেয়ে।
তখনই তার বান্ধবী বলে যে আজ তার জন্মদিন নয়। এরপরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় পরিবারের তরফে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহবশত তাদের এক ধর্ম আত্মীয়র কাছে ফোন করে। কিন্তু প্রথমে তারা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। এরপর থানায় এসে যখন পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানানো হয় পরবর্তীকালে প্রশাসনের তৎপরতায় পুরো বিষয়টি স্বীকার করে নেয় তারা। তারা জানাই তাদের মেয়েকে তারা নিয়ে চলে গেছে কিন্তু কোথায় চলে গেছে তার স্পষ্টভাবে কিছুই জানতে চাইনি। এখন অভিযুক্তরা তাদের ফোন বন্ধ রেখেছে। ওই নাবালিকার পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করছে তাদের মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্যই বাড়ি থেকে তারা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে চলে গেছে। তারা চাইছে প্রশাসন অতি দ্রুত তদন্ত করে যাতে সুস্থ অবস্থায় তাদের মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তির দাবি জানান তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।