
Tiger Death News: আলিপুর চিড়িয়াখানায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই বাঘিনির মৃত্যু। মঙ্গলবার পায়েলের মৃত্যু হয়। তার ঠিক পরের দিনই আর এক বাঘিনি রূপাও মারা যায়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই বাঘিনির মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। যদিও সূত্রে খবর বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে দুই বাঘিনির।
সূত্রের খবর, আলিপুরে জোড়া বাঘিনির মৃত্যুর তদন্ত করতে সিডব্লুইউএলডব্লু একটি কমিটি গঠন করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে বাঘিনিদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সাদা বাঘিনি রূপার জন্ম আলিপুরেই। সাদা বাঘ অনির্বাণ ও হলুদ-কালো ডোরাকাটা বাঘিনি কৃষ্ণর মেয়ে ছিল। বয়স প্রায় ২১ বছর হয়েছিল।
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিল। তার একটি পা প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছিল। পায়েলকে ২০১৬ সালে ওড়িশার নন্দনকানন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আলিপুরে। তার বয়স হয়েছিল ১৭বছর। বৃদ্ধ বাঘিনি বহুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। মাস তিনেক আগে তার ইউএসজিও করা হয়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের লাহিরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্লাসখালীতে বাঘের আতঙ্ক। গ্রামের মানুষজন প্রথমে নদীর পাড়ে বাঘের একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতর ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে। বন দফতরের কর্মীরা এসে বাঘের পায়ের ছাপ নিশ্চিত করে। এরপর গ্রামের দিকে নদীর চড়ের অভয়ারণ্য জাল দিয়ে ঘিরতে শুরু করেছে।
এদিকে আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা গোসাবা ব্লকে পাখিরালা এলাকায় নদী বাঁধে ধস। পূর্ণিমার ভরা কোটালে গভীর রাতে নদী বাঁধে ধস। গ্রামবাসীরা সেচ দফতরের আধিকারিকদের খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের কর্মীরা। প্রায় ১০০ ফুটের ও বেশি নদী বাঁধে ধস নামে। নদী বাঁধ মেরামতি কাজে হাত লাগান সেচ দফতরের কর্মীরাও। দিনভর নদী বাঁধ বস্তা বাঁশ খাঁচা দিয়ে মেরামতি,নদী বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
সুন্দরবনের এক ফসলিও চাষের জমি চাষের জমি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জমির ফসল, পুকুরের মাছ,ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সুন্দরবনবাসীর দাবি, চাই তাদের নদী বাঁধ কংক্রিটের। কবে নদী বাঁধ কংক্রিটে নির্মাণ হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এখন দেখার কবে মেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।