
Kolkata Law Student Allegedly gangraped: দক্ষিণ কলকাতার কসবায় (Kasba) আইন কলেজে (Law College) ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) ঘটনায় নড়েচড়ে বসল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে মহিলা কমিশন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) মনোজ ভার্মাকে (Manoj Kumar Verma) চিঠি দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহতকর (Vijaya Rahatkar)। তিনি অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (Bharatiya Nyaya Sanhita) বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করার দাবিও জানিয়েছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার দাবিও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতিতার চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁকে মানসিকভাবে সাহায্য করতে হবে। আইনি সহায়তাও দিতে হবে। এছাড়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। তিন দিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
বুধবার সন্ধেবেলা কসবায় আইন কলেজে পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা পড়ুয়া। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta National Medical College & Hospital) তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (৩১), জাইব আহমেদ (১৯) ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বলে জানা গিয়েছে।
কসবার ঘটনায় শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'আমি দাবি জানাচ্ছি যে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতারা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।