
সোমবার তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে এই ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হবে। তবে এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
SIR ইস্যু
SIR ইস্যু নিয়ে তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। বিহারে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। খসড়া তালিকা থেকে ৬১ লক্ষের নাম বাদ যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে একাধিক বিরোধিতা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিহারের পর চলতি মাসে বাংলাতেও শুরুতে চলেছে SIR। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সাংসদরা কাজ করবেন, কী কী বিষয়ে সরব হবেন তাই বার্তা দিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
"আমার পাড়া আমার সমাধান"
জানা গিয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প জনসাধারণের মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হচ্ছে কিনা এই নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসে এবার সমাজের নিম্নস্তর থেকে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে চাইছে। একই সঙ্গে গত শনিবার অর্থাৎ ২ আগস্ট থেকে সরকারের নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’। এই কর্মসূচিতে সাংসদরা কী কী কাজ করবেন তা নিয়েও গাইড তৈরি করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঙালি ইস্যু ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন
তৃণমূলের একাধিক সাংসদের পর্যবেক্ষণ, ভিন রাজ্যে, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে, যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটক, গ্রেপ্তার, নিগ্রহ, হেনস্থা মিছিল শুরু হয়েছে, এই নিয়ে সংসদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্রতর করার নির্দেশ দিতে পারেন মমতা। বিশেষ করে দিল্লি পুলিশের পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে রবিবার থেকে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়েও অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সরব হওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিকে, সামনে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনও রয়েছে। বিজেপি–র নেতৃত্বাধীন এনডিএ অথবা কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা তাঁর মনোভাব দলীয় সাংসদদের জানাতে পারেন বলে তৃণমূলের একাধিক প্রবীণ সাংসদের বক্তব্য।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক
আগামীকাল অর্থাৎ ৫ আগস্ট, মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে দলের সমস্ত জেলা সভাপতি, শাখা সংগঠনের প্রধানরা থাকবেন বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, দলের শাখা সংগঠনগুলির সভাপতি, মূল দলের রাজ্য কমিটির সকল সদস্য এবং কলকাতা পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলরকেও থাকতে বলা হয়েছে এই বৈঠকে। বীরভূম এবং উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে কোর কমিটির সমস্ত সদস্যকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে।