কালীপুজো মিটলেই SIR-বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ২ নভেম্বর কলকাতায় SIR-বিরোধী মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই মিছিলে খোদ অংশগ্রহন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
25
কালীপুজোর পরই ময়দানে তৃণমূল
সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের অবশ্য দাবি, SIR-এর আড়ালে NRC করা যাবে না। বৈধ ভোটারদের কিছুতেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। SIR- কতটা ক্ষতিকারক দিক সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ব্লকে ব্লকে সেই খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবার কালীপুজোর পরই পথে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক শিবির।
35
নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে মমতার মতামত
যদিও নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর যে রাজ্যে কোনও ভাবেই কার্যকর হবে না সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দলের নেতা - কর্মীদের নিদান দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এক কথায়, পুজোর মরসুম কাটলেই SIR ইস্যুতে পুরোদমে ময়দানে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন থেকেই চলছে যার জোরদার প্রস্তুতি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (NRC) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ভোটার তালিকা কারচুপি এবং নাগরিকদের নিশানা করার জন্য এই প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপি এনআরসি কার্যকর করার অজুহাত হিসাবে এসআইআর ব্যবহার করছে এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিচ্ছে।
55
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি কী?
"এসআইআর-এর নামে ওরা এনআরসি বসানোর চেষ্টা করছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে চাইছে। আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না।" তিনি বিজেপিকে তাদের নীতির মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন এবং তাদের উস্কানিমূলক কাজের জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, "আমি বিজেপিকে সতর্ক করে দিয়েছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন যে তিনি শুনেছেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি দলীয় বৈঠকে বলেছেন যে আমরা অনেক নাম বাদ দেব।"