তিনি বলেন "আমি ওনাকেও বলেছিলাম, ওঁর নামে যদি কিছু করতে চান, করে দেব। আমরা ১০ লক্ষ টাকা তো দিতেই পারি। তবে তাঁর মা বলেছেন, আগে মেয়ের বিচার হোক, তারপর দেব। যারা কম্পেনসেশনের কথা বলছেন, তাদের জানিয়ে রাখি আমরা আগেই বলেছি।"
আরজি কর ঘটনায় আগেই মুখ কুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে বেঁধেন তিনি। তিনি বলেন "আমি বলেছিলাম আমাদের একটা কর্তব্য আছে, মেয়ে তো আর ফিরে আসবে না। ধর্ষিতা-খুন চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তিনি কী কথা বলেছিলেন তাও প্রকাশ্যে আনেন। তরুণীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন মমতা।
তিনি বলেন "আমি ওনাকেও বলেছিলাম, ওঁর নামে যদি কিছু করতে চান, করে দেব। আমরা ১০ লক্ষ টাকা তো দিতেই পারি। তবে তাঁর মা বলেছেন, আগে মেয়ের বিচার হোক, তারপর দেব। যারা কম্পেনসেশনের কথা বলছেন, তাদের জানিয়ে রাখি আমরা আগেই বলেছি।"
মমতা এদিন বলেন, "রাজারহাটে কৃষক মেরেছেন, কত মানুষের কঙ্কাল পুঁতে দিয়েছেন। একসঙ্গে কত মানুষকে হত্যা করেছেন, সব ভুলে গেছি আমরা? সহানুভূতি না দেখিয়ে রাজনীতি করছেন। আমি ক্ষমতার মায়া করি না। আমি মনে করি মানুষের সেবা করে যাব। হঠাৎ করে চাকরি বাতিল করে দেন আপনারা। মামলা করে চাকরি বাতিল করে দেন। ২৬ হাজার চাকরি খাচ্ছেন, তারাও কিন্তু নতুন যৌবন, তখন ভাবনা আসে না? কী ব্যবস্থা জানি না। কেন একজন রাজ্যসভার সাংসদ লড়বেন এই কেসে লড়বেন? অনেক আইনজীবী আছেন, তারা তো কোনও এমপি নন। আপনারা কি চান না, আসল দোষী শাস্তি পাক? কালপ্রিট ধরা পরুক? আপনাদের সব চলাচল লক্ষ্য করছি। অকথা-কুকথা বলছেন, সবটাই মিথ্যে, অপ্রপচার। কারণ, আপনারা চান না বাংলায় শান্তি থাক। তাই এই রাজনীতি করছেন আপনারা। আমরা কিন্তু এই রাজনীতি করিনি। আন্দোলন করতে করতে আমার ব্রেন সার্জারি হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদি কোনও সন্দেহ থাকে তাঁদের থেকে কথা শোনার জন্য। কী কী খবর আছে বলুন। আমাকে রবিবার পর্যন্ত খবর দিন। সাথে যদি কেউ থাকে তাদের ডাকব এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এবং জুনিয়র ডক্টরদের তারা ডেকেছিল, তাছাড়াও, অনেক কাউকে ডেকেছিল। প্রমাণ কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল, আমরা ওটা সিবিআইকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা রবিবার সময় দিয়েছিলাম। আমাদের টার্গেটের টাইম ছিল, তারা রবিবারের মধ্যে কেস করে ফাঁসি দেবে, এটা আমরা চাই। আমি কিন্তু বালুরঘাটের কেসে করে দিয়েছিলাম। কামদুনির কেস যাঁরা বলছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, ২ জনকে ফাঁসির কথা বলেছিলাম, কিন্তু হাইকোর্ট তাঁদের শাস্তি মকুব করে।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।