হাওয়া অফিস সূত্রে খবর আগামী দু'দিন আবহাওয়ায় বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাবে না। ১৪ জুন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা শহরে।
গত শুক্রবার থেকেই হাওয়া বদল বাংলায়। গৃষ্মের প্রখর দহন শেষে মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টি। শনি ও রবিবার কলকাতায় সেভাবে বৃষ্টি না হলেও, জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। শনিবার থেকেই মেঘলা শহরের আকাশ। সপ্তাহের প্রথম দিনেও ভোর থেকেই মুখ ভার আকাশের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। টানা বৃষ্টির জেরে কমেছে তাপমাত্রাও। সোমবার ভোর থেকেই অনেকটা কম গরমের অস্বস্তি। নেই ভ্যাপসা ভাবও। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর আগামী দু'দিন আবহাওয়ায় বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাবে না। ১৪ জুন পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা শহরে। ১৫ জুন থেকে বৃষ্টি কমলেও আগের থেকে কম থাকবে তাপমাত্রা। মৌসম ভবন জানাচ্ছে আজই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়।
সপ্তাহের প্রথম দিনেই বৃষ্টির পর্বাভাস শহরে। কমেছে গরমের অস্বস্তিও। টানা বৃষ্টির জেরে এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা নেমেছে শহরের তাপমাত্রা। ১২ জুন, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা শহরের আকাশ। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি নামতে পারে শহরে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্প কিছুটা কম থাকায় কমেছে ভ্যাপসা ভাবও। আজ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৭৬ শতাংশ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমার উপকূলে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বর্ষা পুরোপুরি প্রবেশ করার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।উত্তর ও দক্ষিণ উভয় বঙ্গেই আগামী ২-৩ দিন ধরে দিনের তাপমাত্রায় ২-৩ ডিগ্রি পারদপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাগুলিতে। পাশাপাশি গাঙ্গেয় উপকূলে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরের জেলাগুলিতেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হতে পারে। তুলনামুলকভাবে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় বৃষ্টি কিছুটা বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।