শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনি ও রবিবার স্বাভাবিকের তুলনায় আরও বাড়বে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা
বড়দিনেও শীতের আমেজ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবে না শহরবাসী। সকালে বেশ ঠান্ডা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তর-পশ্চিমের শীতল বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে আগামী কয়েকদিন ঊর্ধ্বমূখীই থাকবে তাপমাত্রার পারদ, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনি ও রবিবার স্বাভাবিকের তুলনায় আরও বাড়বে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা। ফলে বড়দিনেও শীতের আমেজ থেকে বঞ্চিত হবে শহরবাসী।
আজ সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ছিল শহরজুড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। বিকেলের দিকে বাড়বে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও। এদিন সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪২ শতাংশ। বিকেলের মধ্যে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে ৯৬ শতাংশতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয় ক্রিসমাসে বিশেষ পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গেও। দুই দিনাজপুর ও মালদায় ঘন কুয়াশা ও অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
২৩ তারিখ পর্যন্ত দুই বঙ্গেই থাকছে শীতের প্রভাব। আজ কাল দুদিনই নিম্নমুখী থাকবে তাপমাত্রার পারদ। উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাবে দুই বঙ্গেই শীতের প্রভাব বজায় থাকবে। ২৪ তারিখ থেকে আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। দুই দিনাজপুর ও মালদায় আগামী ৪৮ ঘন্টা ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। মালদা-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও কুয়াশার প্রভাব থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা দেখা দিতে পারে, তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহতে কনকনে শীতে শহরবাসীর ঘুম ভাঙলেও শীতের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বড়দিনেও বিশেষ ঠান্ডা থাকবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। গত দু'দিন ধরে রাজ্যে শীতের দাপট বেশ ভালোভাবে থাকলেও কয়েকদিনের মধ্যেই তাপমাত্রার পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তর জেরে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে বড় দিনেও সোয়েটারের বিশেষ প্রয়োজন পড়বে না শহরবাসীর।