
Pahalgam Terrorist Attack: পৌঁছতে দেরি হয়েছিল। না হলে হয়তো এখন আর বেঁচে থাকতেন না। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় নাম জুড়ে যেত। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে যাওয়া এক বাঙালি পর্যটক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই পর্যটক জানিয়েছেন, 'আমরা গতকাল পহেলগাঁও পৌঁছই। আমাদের পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও সাইট সিইংয়ের জন্য বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমরা বৈসরন ভ্যালির দিকেই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম পরপর অ্যাম্বুল্যান্স যাচ্ছে। তখনও কিছু জানতাম না। পরে শুনলাম জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমরা হোটেলে ফিরতে বাধ্য হলাম। এর আগে কখনও এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়নি। বৈসরন ভ্যালিতে যদি পৌঁছে যেতাম, তাহলে আমরাও জঙ্গিদের বন্দুকের নিশানায় থাকতাম হয়তো। পহেলগাঁও পৌঁছতে দেরি হল বলে বেঁচে গেলাম।'
পহেলগাঁওয়ে আটকে বিরাটির পরিবার
উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির এক পরিবার মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার সময় পহেলগাঁওয়ে ছিল। দম্পতি সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও তমা সাহা মুখোপাধ্যায় ভূ-স্বর্গের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠল। এই পরিবার নিরাপদেই আছে। তবে বাড়িতে সবাই উদ্বিগ্ন। কারণ, ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তমা জানিয়েছেন, ফোনে নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছে। এই কারণে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তবে আপাতত তাঁরা নিরাপদে আছেন।
দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টায় বাঙালি পর্যটকরা
কাশ্মীরে এই মুহূর্তে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটকই আছেন। সবাই যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। তবে সবার পক্ষে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, অনেক রাস্তাই এখন বন্ধ। আবহাওয়া ভালো না। তার উপর জঙ্গি হামলার জেরে কারফিউয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে হাজার হাজার পর্যটক উপত্যকায় আটকে পড়েছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন, এই পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থাগুলি উড়ানের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। সবমিলিয়ে ভূ-স্বর্গে বেড়াতে গিয়ে দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিন কাটছে পর্যটকদের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।