সরকারি শিবির এবং শাসক দলের একাংশের ধারণা, ভোটারের মন পেতে সরাসরি সুবিধার খুব বড় ঘোষণা এ বারের বাজেটে না-ও থাকতে পারে।
ভোটমুখী বাজেট হবে এবার? ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা নতুন প্রকল্পের ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। গোটা রাজ্যের নজর থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের বাজেটে। বাংলায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বিধানসভায় বাজেট পেশ হওয়ার আগেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে আগাম রাজনৈতিক বিতর্কও।
সরকারি শিবির এবং শাসক দলের একাংশের ধারণা, ভোটারের মন পেতে সরাসরি সুবিধার খুব বড় ঘোষণা এ বারের বাজেটে না-ও থাকতে পারে। বরং, ভোটের প্রচারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে আগামী সরকারের আর্থিক কর্মসূচি সামনে রেখেই এগোতে পারেন মমতা। দলগত ভাবে এই বাজেটে প্রত্যাশা রয়েছে তৃণমূলেরও।
আয়করে ছাড়ের সুবিধা দিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তার উল্টো দিকে রাজ্য কী করে, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে দলের জন্য ‘কী’ থাকে, সে দিকেই নজর রেখেছেন তাঁরা। বিরোধীরাও মনে করছে আগামী ভোটের দিকে নজর রেখে রাজ্য বাজেটে কিছু ‘চমক’ থাকতে পারে।
বাজেট ঘিরে নতুন কর্মসংস্থান, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধা এবং সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা রয়েইছে। সেই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ জরুরি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো এবং শিল্পায়নে নবান্নের ভাবনার কী প্রতিফলন রাজ্য বাজেটে থাকবে, সে দিকে নজর রয়েছে সব পক্ষেরই।
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সেই প্রত্যাশার সূত্রেই বলেছেন, ‘‘পরিকাঠামো উন্নয়ন, সর্ব স্তরের মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষার যে নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চলে, বাজেটে তার প্রতিফলন নিশ্চয়ই থাকবে।’’ সূত্রের খবর, বাজেটের আগে রাজ্য সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গে অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমার দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।