করোনার আতঙ্ক নয়, বরং লকডাউনের বাজারে দুর্ভোগই বেশি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অবিলম্বে জুটমিল খোলার দাবিতে এবার ভুখা হরতালে বসলেন শ্রমিকরা। হরতালে শামিল মিলের অনুমোদিত ১১টি ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির রিষড়ায়।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতির অভিযোগে প্রতীকী অনশন, রামপুরহাটে গ্রেফতার ৯ জন বিজেপি নেতা
দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাই কি তবে সত্যি হতে চলেছে? কোথাও একটু কম, তো কোথাও আবার একটু বেশি। হুগলির জেলার প্রতিটি জুটমিলেই কাজ করেন হাজার চারেক শ্রমিক। লকডাউন জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত ১১টির মধ্যে ৯টি মিলই চালু ছিল। কাজ চলছিল পুরোদমে। কিন্তু কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে শ্রমিকদের।
লকডাউন আপাতত উঠছে না। তবে তৃতীয় দফায় জুটমিলগুলিকে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ রাজ্যে বেশ কয়েকটি মিলে ফের উৎপাদনও শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্য়তিক্রম কেবল হুগলি। জেলায় একটি জুটমিল এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে শ্রমিকদের দুর্দশাও আর ঘোচেনি। উল্টে যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে! নিরুপায় হয়ে রিষড়ায় হেস্টিংস জুটমিলের সামনে ভুগা হরতালে বসলেন শ্রমিকরা। শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় রিষড়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইআইটি জেইই ও এনইইটি পরীক্ষার দিন ঘোষণা, সেপ্টেম্বরেই নতুন শিক্ষাবর্ষের ইঙ্গিত মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে বন্ধ চায়ের দোকান, উপার্জন হারিয়ে অবসাদে আত্মঘাতী যুবক
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি শ্যামকুমার গুপ্তা বলেন, 'রেড জোনেও জুটমিল খুলছে। হুগলি জেলা অরেঞ্জ জোনে পড়ছে। কিন্তু এখানে মিল খোলার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। আমাদের হাতে টাকা নেই, খুবই কষ্টে আছি। সমস্ত ইউনিয়নের তরফে থানা, এসডিপিও, এমনকী ডিএম-কে সমস্যার কথা জানিয়েছে। প্রশাসনকেও চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সরকারের তরফে ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি। লকডাউনের চলাকালীন কোনও পয়সা পাইনি। মিল খুললে বাঁচব, না হলে মরে যাবো।' রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিলের ম্যানেজার বলেন, 'শ্রমিকদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। উপরমহল থেকে নির্দেশ এলেই মিলে খোলা হবে।'