সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের নিদারুণ পরিণতি
  • রোজগারে হারিয়ে মানসিক অবসাদ
  • আত্মঘাতী চায়ের দোকানের মালিক
  • কাটোয়ার ঘটনা
     

চা বিক্রি করে দিব্যি সংসার চলে যেত। লকডাউন জারি হতেই সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল! দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ। মানসিক অবসাদে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কাটোয়ায়।

আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে রেশন দুর্নীতি নিয়ে স্মারকলিপি, গ্রেফতার বিজেপির জেলা সভাপতি

মৃতের নাম দেবরাজ মোদক। বাড়ি, কাটোয়া শহরের মার্কেটিং পাড়ায়। বাবা-মা ও ভাইকে নিয়ে সংসার। ভাই সোমরাজ শ্রমিকের কাজ করেন ভিনরাজ্যে। বাড়ির নিচেই চায়ের দোকান চালাতেন দেবরাজ। রোজগারও মন্দ হত না। কিন্তু লকডাউনের জেরে এখন দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। এভাবে আর কতদিন চলবে! পরিস্থিতির চাপে ব্যবসার পুঁজি ভেঙে কোনওমতে সংসার চালাচ্ছিলেন দেবরাজ। কিন্তু সেই পুঁজিও যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন কী হবে? দুঃশ্চিন্তা বাড়ছিল ক্রমশই। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদও।

আরও পড়ুন: লকডাউন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ, শিলিগুড়ি ছাড়ার আগে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রীয় দলের

আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনা আক্রান্ত কেন্দ্রীয় দলের গাড়িচালক, সংস্পর্শে আসা ব্য়ক্তিদের পাঠানো হবে কোয়ারেন্টিনে

পুলিশ জানিয়েছে, রোজকার মতোই রবিবার রাতেও খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ঘরে শুতে চলে যান দেবরাজ। এরপর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে ফোনও করেন তিনি। কিন্তু সোমবার সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত ছেলের সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকেদের। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়েই যখন ঘরের দরজা ভাঙা হয়, তখন ওই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা ও ভাই। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে কাটোয়া থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।