সংক্ষিপ্ত
- রেশন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার
- দুর্নীতির অভিযোগে প্রতীকী অনশন বিজেপির
- গ্রেফতার হলেন দলের ৯ জন নেতা
- বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনা
লকডাউনের বাজারে রেশন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার। দুর্নীতির অভিযোগে ব্লক অফিস চত্বরে প্রতীকী অনশনে বসে গ্রেপ্তার হলেন ন'জন বিজেপি নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে।
আরও পড়ুন: ফের করোনার ছোবল বর্ধমানে, সংক্রমিত সরকারি হাসপাতালের নার্স
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্তব্ধ দেশ। বন্ধ কলকারখানা- দোকানপাট, এমনকী একশো দিনের কাজও। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। যাঁদে বিপিএল কার্ড আছে, তাঁদের রেশন থেকে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রীর বিলির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। আর তা নিয়ে যত গণ্ডগোল। কোথায় রেশনে কারচুরি, তো কোথাও আবার নিম্মমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভ-অবরোধ শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের সর্বত্রই। জনরোষের মুখে পড়ছেন রেশন ডিলাররা।
আরও পড়ুন: 'বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক সরকার', মুম্বই থেকে কাতর আর্জি বাংলার পড়ুয়াদের
আরও পড়ুন: ১২ জন নার্সের করোনা পজিটিভ,এবার বন্ধ হল পার্কসার্কাসের শিশু হাসপাতাল
রেশন দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে প্রতীকী অনশনে বসেন দলের জেলা সহ-সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, ব্লক সভাপতি তারকেশ্বর ধীরব-সহ ৯ জন বিজেপি নেতা। অনশন চলে বেশ কিছুক্ষণ। শেষপর্যন্ত সকলেই গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা বলেন, 'আমরা বিডিওর অনুমতি নিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছিলাম। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই আন্দোলনে নেমেছিলাম। আমাদের দাবি রেশন সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। পুলিশ গ্রেফতার করে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা রেশন দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।' রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ বলেন, 'পুলিশকে আন্দোলনে বিষয় জানিয়েছিলাম। পুলিশ কি করেছে, জানি না।'