সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবসে নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেল হলদিয়ায়। লক্ষ্মণ শেঠ ও কুণাল ঘোষকে দেখা গেল এক মঞ্চে। যাকে ঘিরে রাজনীতে নয়া সমীকরণ তৈরি হল বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে পাশাপাশি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের দৌর্দণ্ড প্রতাপ নেতা কুণাল ঘোষকে।
আরও পড়ুন-অবশেষে পথ চলা শুরু করল মাঝেরহাট ব্রিজ, উদ্বোধনের পর পায়ে হেঁটে পরিদর্শন মমতা
লক্ষ্মণ শেঠের জন্যই ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তৃণমূলের মুখপাত্রের সঙ্গে একমঞ্চে তাঁদের দেখে রাজ্য রাজনীতির নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রাম ভূমি আন্দোলনের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন লক্ষণ শেঠকে তৃণমূল মুখপত্রের পাশে বসে নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন-'তৃণমূলের বুড়ো খোকাদের কথা শুনছে না যুবরা', শুভেন্দু নিয়ে সৌগতকে খোঁচা দিলীপের
স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে লক্ষণ শেঠের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে লক্ষণ শেঠেলর দাবি ছিল, নন্দীগ্রামের ঘটনায় তাঁকে জড়িয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তিনি চাইতেন নন্দীগ্রামে হিংসার ঘটনা ঘটুক। সেই নন্দীগ্রাম থেকেই আন্দোলন করে বাংলায় সরকার গড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর একদশক পর লক্ষণ শেঠকে কুণাল ঘোষের পাশে দেখা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।