রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনটিতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১২ এপ্রিল।
ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন(Bullygunge constituency)। সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। শুরু হয়েছে একে একে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা। এদিন তৃণমূল-কংগ্রেস ও বিজেপির পর বুধবার আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম(Left candidate Saira Shah Halim.)। ঋণ নির্ধারিত সময় সাড়ে বারোটার কিছু পরে তিনি এসে পৌঁছান সার্ভে বিল্ডিংয়ের সামনে। সেখানেই জরুরি দস্তাবেজে সইয়ের পর চলে যান নিজের মনোনয়ন জমা দিতে। তবে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তার জয়ের জন্যে তিনিই যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানালেন। আগামীকাল মনোনয়নের শেষ তারিখ। জানা গিয়েছে ওই দিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা করবেন দলীয় প্রার্থী কামারুজ্জামান চৌধুরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনটিতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১২ এপ্রিল। ফলপ্রকাশ আগামী ১৬ এপ্রিল তখনই জানা যাবে আই আসনের ক্ষমতা আদপে কার হাতে যাবে। এদিকে এই বালিগঞ্জ কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। গত বিধানসভা কেন্দ্রে এই বালিগঞ্জে বামেদের তরফে ফুয়াদ হালিমকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও বিশেষ এঁটে উঠতে পারেননি। এবার এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী খোদ তাঁর স্ত্রী। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সায়রা হালিম বলেন, “বালিগঞ্জ একটি আকর্ষণীয় নির্বাচনী এলাকা। এখানে সমাজের সব স্তরের মানুষ রয়েছে। শিক্ষা, চাকরি, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ এবং জলের সমস্যাগুলি সমাধান করা দরকার। আমি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান ঘটাতে এবং একটি সমন্বয়বাদী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি”। এদিকে রাজনৈতিকভাবে বাম মতাদর্শী হলেও সায়রা হালিমের মধ্যে আছে পুরোপুরি কর্পোরেটের ছোঁয়া। তাঁর বায়োডেটা রীতিমতো ঈর্ষণীয় যে কোনও এনআরআইয়ের কাছেই। দীর্ঘদিন বিদেশে লেখাপড়া করেছেন। করেছেন কর্পোরেট সংস্থার উচ্চপদে চাকরি।
আরও পড়ুন- সিট গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিট হয়েছে, ফের তোপ সেলিমের
আরও পড়ুন- রামপুরহাট গণহত্যায় নয়া মোড়, বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৫ ধারা জারির আর্জি জানাব, রামপুরহাট কাণ্ডে বিস্ফোরক অধীর
এদিকে শুধুই ফুয়াদ হালিমের স্ত্রী নন, নাসিরুদ্দিন শাহর ভাইঝি বলেও পরিচিত রয়েছে সায়রার। তাঁর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলে দেখা যাবে বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেই জড়িত সায়রা। এমনকি স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই একাধিক বা আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন। এবার কাঁধেই নতুন দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন।