বাড়ির বউ নিখোঁজ। সন্ধে থেকেই খোঁজ নেই তাঁর। বাড়ির লোকের সন্দেহ হওয়ায় এলাকার এক যুবকের গ্যারাজে সামনে আসেন সকলে। গ্যারাজে দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরও কোনও সাড়া মিলছিল না। এরপরই এলাকার ক্লাবের ছেলেরা গ্যারাজের ইঁটের দেওয়াল ভেঙে ফেলেন। গ্য়ারাজের ভিতর থাকা গাড়ি থেকে যখন সেই গৃহবধূ-কে উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর শরীর নিথর। পাশেই পড়ে ছিল গৃহবধূর প্রেমিকেরও দেহ। বুধবার রাতে এই ঘটনা দুর্গাপুরের ইস্পাত কলোনি-র ডেভিড হেয়ার রোডে।
আরও পড়ুন- খড়দহ স্টেশনে ব্যাগ ভর্তি মর্টার শেল, এলাকায় তুমুল শোরগোল অফিস টাইমে
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সুইফট ডিজায়ার গাড়িটির ভিতরে এসি চলছিল। কিন্তু, দুজনেই উলঙ্গ অবস্থায় মুখ থুবড়ে গাড়ির পিছন সিটে পড়েছিলেন। দু'জনেরই শরীরে বড় বড় ফোস্কা-র মতো চিহ্ন মিলেছে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কৌশিক গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে থাকা গৃহবধূর নাম কাবেরী ভট্টাচার্য। বছর আঠাশের কৌশিক এলাকায় রানা নামে পরিচিত এবং তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন। বছর পঁয়ত্রিশের কাবেরী কৌশিকের পাশের পাড়া চার নম্বর কলোনির বাসিন্দা বলে জানি গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দু'জনের মধ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
আরও পড়ুন- মণিরুলের পাল্টি,পদ্ম শিবিরে লাভপুরের গডফাদার
যে গাড়ি থেকে দেহ দুটি উদ্ধার হয়েছে তা কৌশিকের এবং গ্যারাজটিও তাঁর। কিছুদিন আগেই কৌশিকের মা প্রয়াত হয়েছেন। বাড়িতে তাঁর অসুস্থ বাবা রয়েছেন। তিনি কার্যত শয্যাশায়ী বলেই জানা গিয়েছে। কাবেরীর বছর চারেকের একটি মেয়েও রয়েছে। গাড়ির মধ্যে এসি চলার সত্ত্বেও কীভাবে দু'জনের মত্যু হল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। গাড়ির ভিতরে এসি-র গ্যাসে কোনও ভাবে দমবন্ধ হয়ে কৌশিক ও কাবেরীর মৃত্যু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এই ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কাবেরী সন্ধেবেলায় বাড়়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপর রাত ১১টা বাজলেও তিনি না ফেরায় বাড়ির লোক খুঁজতে বের হয়। এই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-কেই পাখির চোখ বানিয়েছে।
আরও পড়ুন- হৃতিকের ছবির দুই অভিনেতাকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ