কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: চোপড়া ছাত্রী মৃত্যুকাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্য়ু হল মূল অভিযুক্তের। ঘটনাস্থলে কাছেই একটি পুকুরে ভেসে উঠল ওই কিশোরের দেহ। এলাকায় চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি ময়নাতদন্তে, চোপড়াকাণ্ডে দেহ নিয়ে বিজেপিকে মিছিলে বাধা পুলিশের
রবিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরে চোপড়ার বসলামপুরে গ্রাম উদ্ধার হয় এক কিশোরীর দেহ। এবছরই মাধ্যমিক পাস করেছিল সে। বেলা গড়াতেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতভর তাঁর উপর নারকীয় অত্যাচার চলে। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতাকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তের। ঘটনার প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন কয়েকশো মানুষ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক সরকারি বাস ও পুলিশের জিপও।
আরও পড়ুন: করোনার থাবা, ভাইরাস আতঙ্কে শ্রাবণ মাসেই তালা পড়ল শতাব্দী প্রাচীণ শিব মন্দিরে
এদিকে এই ঘটনায় ফিরোজ আলি নামে এলাকারই এক কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে মৃতার পরিবারের লোকেরা। কিশোরীটির দেহ যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল, তার অদূরে একটি পুকুরে ভেসে ওঠে ফিরোজের দেহ! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রথমে অবশ্য মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। শেষপর্যন্ত ওই কিশোরকে শনাক্ত করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।