এত দিন ছিল জাল নোট। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মাদকের কারবার। মালদহে মাদকের রমরমা কারবার ঠেকানোই এখন পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ মালদহ হয়েই ব্রাউন সুগার, কোকেনের মতো মাদক। বাদ যাচ্ছে না মায়ানমার থেকে এ দেশে ঢোকা ইয়াবা ট্যাবলেটও।
মাদক পাচারকারীদের দাপাদাপি মালদহে কতখানি বেড়ে গিয়েছে, সোমবার পুলিশি অভিযানে তার প্রমাণ মিলল। একসঙ্গ ছ'জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার করা হল ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট এবং বিপুল পরিমাণ আফিমের আঠা।
সোমবার ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ মালদহ শহরের একটি হোটেলে হানা দিয়ে প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে ৬০ হাজার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। ধৃত তিন জনের মধ্যে এক জন বাংলাদেশের নাগরিক, একজন মণিপুরের বাসিন্দা এবং একজন কলকাতার ইকবালপুরের বাসিন্দা। ওই তিনজনকে জিঞ্জাসাবাদ করে পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দু' জন মালদহের এবং এক জন কলকাতার বাসিন্দা।
ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, ময়ানমার থেকে এই ইয়াবা ট্যাবলেট চোরা পথে মণিপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর পর বাংলাদেশ থেকে মালদাহে চলে আসছে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের পান্ডারা। মালাদা থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। পাশাপাশিহচ কলকাতাতেও পাঠানো হচ্ছে ওই মাদক।
যে ছ' জনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের মধ্যে মহম্মদ নুরুল হকের বাড়ি মণিপুরে। সাত্তার আহমেদ এবং বাবলু শেখ ইকবালপুরের বাসিন্দা। এছাড়াও মহম্মদ ইসমাইল নামে বাংলাদেশের এবং বিপ্লব কর্মকার ও ফইজুল শেখ নামে মালদহের দুই বাসিন্দাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি জেলার কোথায় কোথায় গোপন ডেরায় এই মাদক মজুত করা হচ্ছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।