চিন্তা বাড়ছে মোবাইল গেমের আসক্তিতে, বাঁকুড়ায় ডাক্তারি পড়ুয়ার আত্মহত্যা ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন

পরিবারের দাবি সায়ন কোনও মারণ মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের সে কথা জানালে তদন্তকারীরা সায়নের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।  

Jaydeep Das | Published : Feb 9, 2022 12:20 AM IST

ছোট থেকেই মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল। দু একবার হাতে কাটা দাগও দেখেছিলেন পরিবারের লোকজন। সন্দেহ ক্রমশই তীব্র হচ্ছিল। সেই মোবাইলের কোনও মারণ গেমই কী কেড়ে নিল ফুটফুটে ছেলেটির প্রাণ?  বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সায়ন কর্মকারের আত্মহত্যার পর সেই সন্দেহই ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। 

বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের সায়ন কর্মকার ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চলতি বছর সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল সায়ন। ডাক্তারি পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক হয়েছিল ৩৬৫১১। রাজ্যের মুর্শিদাবাদ,  মালদা ও কোচবিহার এই তিনটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ মিলেছিল। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের মুখ দেখার আগেই সব শেষ। 


গতকাল সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত সায়নের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ডেকে আনেন পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীরাই দরজা ভেঙে দেখেন ফ্যানের পাশের একটি হুক থেকে ওড়না জাতীয় কিছুর মাধ্যমে ঝুলছে সায়নের নিথর দেহ। এরপর সোনামুখী থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সায়নের পরিবারে। 

আরও পড়ুন- বড় পর্দায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ-দুর্দশার গল্প, ১১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস

আরও পড়ুন- একযোগে হল লক্ষ্মী-সরস্বতী পুজো, ভোগ নিবেদন করতে শালবনীতে হাজির বিধায়ক জুন মালিয়া


পরিবারের দাবি সায়ন কোনও মারণ মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের সে কথা জানালে তদন্তকারীরা সায়নের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।  সেই মোবাইল গেমের আসক্তিই কী শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল মেধাবী ওই কিশোরের?  খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।  এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।  এদিকে ডিজিটাল দুনিয়ার অগ্রগতির হাত ধরে গত কয়েক বছরে গোটা দেশ সহ রাজ্যে অনেকটাই বেড়েছে মোবাইল গেমের রমরমা। আর তাতেই বেড়েছে চিন্তা। একাধিক মারণ গেমের খপ্পরে পড়ে প্রাণ খুইয়েছে কত তরতাজা কিশোর-কিশোরী। এমনকী গেমের কারণেই মানসিক অবসাদের শিকারও হয়েছেন বহু যুবক-যুবতী। বেড়েছে সাংসারিক অশান্তি। কিন্তু এর থেকে মুক্তি কোথায় ? সায়নের মৃত্যু নতুন করে সেই প্রশ্নই যেন তুলে দিয়েছে। 

আরও পড়ুন- রাতের রাস্তায় পঞ্জাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কনভয় থামিয়ে আহতদের প্রাণ বাঁচালেন সোনু সুদ

আরও পড়ুন- 'সবই হচ্ছে একটা পার্টির জন্য', সুষ্ঠু পুরভোটের দাবিতে কমিশনে গিয়ে তোপ বিজেপির

Share this article
click me!