সংক্ষিপ্ত
কথা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের ভোট সন্ত্রাস ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
ত্রিপুরারয় (Tripura) আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেলেন হুগলির সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বলেন বাংলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না ত্রিপুরায়। লকেট বলেন বিজেপি উন্নয়ন চায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার প্রতিনিধিত্ব করেন। যাঁদের মূল লক্ষ্যই হল 'খেলা হবে' স্লোগান তুলে হিংসার পরিবেশ ছড়িয়ে দেওয়া।
কথা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের ভোট সন্ত্রাস ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে খোলা হবে বা খেলা চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জাতীয় স্লোগানের অর্থ হল এই রাজ্যের ৬০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, এক লক্ষেরও বেশি বিজেপি কর্মীর ঘরছাড়া, মহিলাদের গণধর্ষণের স্বীকার হওয়া। কিন্তু ত্রিপুরায় এজাতীয় 'খেলা হবে' চলবে না।
Farmer Protest: প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ না করলেও পারতেন, মহাপঞ্চায়েতে বললেন কৃষক নেতা
Saayoni Ghosh: আন্দোলন থেকে সরছেন না, ত্রিপুরায় জামিন পেয়ে ঘোষণা সায়নী ঘোষের
Afghan Girl: বিয়ের নামে ২০ দিনের শিশুকন্যা বিক্রি, বাল্যবিবাহের ভয়ঙ্কর ছবি আফগানিস্তানে
লকেট সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন বিজেপি ত্রিপুরায় উন্নয়ন চায়। ত্রিপুরার উন্নয়নে বিজেপি সবরকম সহযোগিতা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও সমালোচনা করেছেন লকেট। তিনি বলেন এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কিন্তু ত্রিপুরায় নিজেদের উপস্থিতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা সেই রাজ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। তিনি বলেন 'তৃণমূল এই রাজ্য শাসন করতে পারছে না, কিন্তু সেই দলই এখন ত্রিপুরা যাচ্ছে। সেখানে তাদের একজনও ক্যাডার নেই।'
এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই 'খেলা হবে' স্লোগান তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির 'জয়শ্রী রাম' স্লোগানের পাল্টা হিসেবেই তিনি খেলা হবে স্লোগান ব্যবহার করেছিলেন। তারপর থেকেই তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান যথেষ্ট জনপ্রিয়। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা অন্যরাজ্যেও পৌঁছে গেছে। ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান খেলা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস খেলা হবে স্লোগানকে উন্নয়েনর স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করেলেও বিজেপি হিংসার প্রতীক হিসেবে এই স্লোগানকে তুলে ধরছে প্রথম থেকেই। এদিনও সেই একই পথে হেঁটেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির দ্বন্দ্বে রীতিমত উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। সোমবার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগ করে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। দিনভর ধর্না দেওয়ার পরে বিকেলে অমিত শাহর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন সাংসদরা।