পেগাসাস ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বললেন ফোন ট্যাপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহিদ দিসবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পেগাসাস সফটওয়ার ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলধনা করছেন তখনই শহিদ শ্রদ্ধাজ্ঞলী দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁরই বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ তুলেন তিনি।
হলুদ নদীর জলে ভাসছে চিন, ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিতে সংকটে শি জিংপিং সেনা নামালেন
CAA-NRC নিয়ে বড় মন্তব্য সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের, সঙ্গে আর্জি সংখ্যালঘুদের কাছে
দিলীপ ঘোষ সরাসরি বলেন পেগাসাস কোম্পানির সফটওয়ার ব্যাবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর সরকার। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কথায় 'ফোন ট্যাপিং তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি আমাদের নয়।' কথা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ তুলে আনেন মুকুল রায়ের কথাও। তিনি বলেন, 'মুকুল রায়, যিনি ডান হাত ছিলেন তৃণমূল নেত্রীর, তিনি আমাদের দলেও এসেছিলেন। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয় বলে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি।' দিলীপ ঘোষ আরও বলেন তৃণমূল নেতাদের প্রত্যেকের ফোনও ট্যাপ করা হয়। আর সেই কারণেই তৃণমূল নেতারা হোয়াটস অ্যাপ ছাড়া কথাই বলে না। তৃণমূল নেত্রী নিজেই ফোন ট্যাপ করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ রায়। কার কার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে তা বলতে পারবেন তৃণমূল নেত্রী। তেমনই অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের কথায় নরেন্দ্র মোদীকে বদনাম করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও লাদাখের মত পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে চিন, সতর্ক ভারত
তৃণমূল কংগ্রের পাল্টা শহিদ শ্রদ্ধাজ্ঞলী দিবস পালন করে বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ আরও একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিতে চান বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন গত কয়েক বছরে তাঁদের দলের ১৭৫ জন কর্মী তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর হাতে খুন হয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেও এই রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ এমন ভয়ঙ্কর অত্যাচার পশ্চিমবাংলার মানুষ কোনও দিনও দেখেনি। যারা বামফ্রন্ট্রে অত্যাচারের বিরুদ্ধে শহিদ দিবস পালন করছে তারাই অত্যাচারের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের শহিদ দিবসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়়েননি। তিনি বলেছেন, 'আজ তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস চলছে। কংগ্রেসের শহিদদের ছিনিয়ে এনে আন্দোলনে মৃত কর্মীদের প্রতি স্মৃতিচারণ করছে তৃণমূল।এর থেকেই বোঝা যায় ওই দলের মূল বলে কিছুই নেই।'