সংক্ষিপ্ত
উত্তরাখণ্ডের বারাহোটি এলাকায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিনা সেনা। সেনার পাশাপাশি টহল আর নজরদারি বাড়িয়েছে চিন। পরিস্থিতি মোতাবিলায় তৎপর ভারতীয় সেনারা।
পূর্ব লাদাখ সংলগ্ন শাচেক শহর নতুন বিমান ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। এই খবরের পরেও স্বস্তি নেই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর এবার উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিন। বারাহোটি এলাকায় রীতিমত বাড়ছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সংখ্যা। সূত্রের খবর এই এলাকায় বাড়ান হয়েছে টহলদারীও।
সরকারি সূত্রের খবর চিনের প্রায় ৪০ জন সেনা জওয়ান সম্প্রতি বারাগোটি সংলগ্ন প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশ দিয়ে টহল দিয়েছে। এই এলাকায় দীর্ঘ দিন পরে পা পড়ল চিনা সেনার। সূত্রের খবর এই এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই ছিল চিনা সেনা জওয়ানরা। একই সঙ্গে ড্রোন আর হেলিকপ্টার দিয়েও নজরদারী চালান হয়েছে বলেও সেনা সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদ, বিরোধীদের মুখোশ খুললেন নেটিজেনরা
করোনা মহামারি চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
চিনাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। সূত্রের খবর সেনা কর্তারা মনে করছে অবিলম্বে এই এলাকায় আরও সেনা সমাবেস করতে পারে চিন। আর সেই কারণে এই এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারী। দিন কয়েকের মধ্যেই চিনা সেনাদের কার্যকর বারাহোটি এলএসি এলাকায় দেখা যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। ভারতের বারাহোটির উল্টোদিকেই শাচেক শহরে নতুন বিমান ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। সেই ঘাঁটিতে আনা হয়েছে প্রচুর যুদ্ধের সরঞ্জাম। বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধ বিমানের সংখ্যাও। একটি সূত্র বলছে সেখান থেকেই ড্রোনের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারী চালান হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীর লেখা পুরনো চিঠি কাঁপাচ্ছে নেটদুনিয়া, সুগন্ধী নিয়ে ভাইরাল চিঠি কাকে লিখেছিলেন জানুন
তবে ইতিমধ্যেই সকর্ত হয়েছে ভারতীয় সেনা। লাদাখের মত পরিস্থিতি এড়াতে বারাহোটি এলাকায় বাড়ানো হয়য়েছ। তৈরি করা হয়েছে অবকাঠামো। কারণ বারাহোটি এলাকায় সীমান্ত লঙ্ঘনের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে চিনা সেনার। এই এলাকার বেশ কিছু অংশ চিনারা নিজেদের বলেও দাবি করে। সম্প্রতি সেনা কর্তারাও এই উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
গত বছর থেকেই ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় তৎপরতা বাড়িছে চিনা সেনা। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড আর অরুণাচল প্রদেশেও চিনা সেনার তৎপরতা ছিল লক্ষ্য করার মত। এই অবস্থায় গত বছর পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্যে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সেনারা। যার ফল হয়েছিল মারাত্মক। কিন্তু তারপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কূটনৈতিক আর সামরিক আলোচনার মধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাইছে ভারত।