দেশের শান্তি কামনা করে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

  • জগন্নাথ মন্দিরে পুজো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের
  • দেশের শান্তি কামনা করে পুজো 
  • দিল্লির হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
  •  ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন

Asianet News Bangla | Published : Feb 26, 2020 2:11 PM IST / Updated: Feb 26 2020, 07:45 PM IST

সব তিক্ততা ভুলে আবারও পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়ে গোটা দেশের শান্তি কামনা করলেন মুখ্যামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে ওড়িশা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে ইস্টার্ন রিজিওনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও। 

আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবার থেকে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়
সফরের ব্যস্ততার ফাঁকে কিছু সময় বার করে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার গিয়েছিলেন পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে এসে মমতা বলেন বাংলা, ওড়িশাসহ সকল রাজ্যের শান্তি কামনা করে পুজো দেওয়ার জন্যই তিনি এসেছিলেন পুরীর মন্দিরে। তিনি আরও বলেন গোটা দেশের মানুষ ভালো থাকুক এটাই তাঁর কাম্য। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয়, কোনও বিভেদ নয়, সব মানুষই শান্তিতে থাকুক এই কামনা করেছেন বলেও তিনি জানান। মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চারিদিকে যা হচ্ছে তার জন্য তাঁর হৃদয় কাঁদছে। তাঁর সব ভাইবোনেরা যাতে ভালো থাকে, দেশে যাতে শান্তি বজায় থাকে সেই কামনা জানাতেই মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুনঃ এক্সপ্রেসওয়ে এবার মেদিনীপুর শহরে, প্রস্তাব গেল নবান্নে
সাংবাদিকরা আলাদা করে দিল্লির প্রসঙ্গ তোলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েদেন গোটা দেশের শান্তি কামনা করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। গোটা দেশের জন্য বাংলা শান্তি কামনা করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুনঃ মে মাসেই চালু হতে চলেছে ফুলবাগানে মেট্রো, আনন্দে মেতে উঠেছে কলকাতাবাসী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালে পুরী গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী গোমাংস খাওয়ার পক্ষপাতি হওয়া তাঁকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেয় জগন্নাথ মন্দিরে একদল সেবাইত। যদিও বুধবার তাঁর সফর ঘিরে কোনও অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়নি। প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল ওড়িশা পুলিশ। তবে এদিন মন্দিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের একটি ধ্বজাও তাঁকে উপহার দেওয়া হয়। যা শান্তির বার্তা নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Share this article
click me!