৩ দিন ধরে নদীর জলে ভাসছিল 'দেহ', কাছে যেতেই তাজ্জব গ্রামবাসীরা, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ব্যক্তি

স্থানীয়দের কথায়, প্রায় তিন দিন ধরে এক ব্যক্তির 'দেহ' ভাসছিল গ্রামের পাশের কংসাবতী নদীতে। প্রতিকূল রাস্তার জন্য কোনওভাবেই ওই 'দেহ'-এর কাছে পৌঁছানো যাচ্ছিল না। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 9, 2021 9:43 AM IST

প্রায় দিন ধরে জলের মধ্যে ভাসছিল 'দেহ'। গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন হয়তো নদীর জলে কোথাও থেকে 'দেহ' ভেসে এসেছিল। রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্থানীয়দের মনে। কিন্তু, কাছে যেতেই তাঁদের ভুল ভেঙে যায়। দেখেন, এ মৃতদেহ কোথায়! দিব্যি জীবিত এক মানুষ গলা জলে তিনদিন ধরে কংসাবতী নদীতে ডুবে রয়েছেন। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁরা। এরপর সেই ব্যক্তিকে কোনওরকমে জল থেকে তুলে খবর দেন পুলিশে। এমনই এক আজব ঘটনার স্বাক্ষী থাকলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার গুড়লি গ্রামের ঘোলপাড়ার বাসিন্দারা। 

স্থানীয়দের কথায়, প্রায় তিন দিন ধরে এক ব্যক্তির 'দেহ' ভাসছিল গ্রামের পাশের কংসাবতী নদীতে। প্রতিকূল রাস্তার জন্য কোনওভাবেই ওই 'দেহ'-এর কাছে পৌঁছানো যাচ্ছিল না। অবশেষে নৌকা করে সেখানে পৌঁছান গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। আর পৌঁছানোর পরই তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। এ মৃতদেহ কোথায়! দেখেন বছর ৫৫-র ব্যক্তি গলা জলে ডুবে রয়েছেন। কাছে যেতেই চোখ মেলে তাকান তিনি। এরপর কোনওরকমে জল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। 

আরও পড়ুন- BJP কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তর নিয়ে ধুন্ধুমার, পুলিশের ধস্তাধস্তি NRS-এ

আরও পড়ুন- বাংলাতেই রয়েছে অ্যামাজনের মত চর, বিষধর সাপের সঙ্গে জীবন কাটান বাসিন্দারা

ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, কিছুই বলতে পারেননি তিনি। এমনকী, খেয়েছেন কিনা তাও বলতে পারেননি। খবর দেওয়া হয় ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়কে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান তাঁরা। এদিকে গ্রামবাসীরা ততক্ষণে ওই ব্যক্তিকে জল থেকে তুলে তাঁর খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

আরও পড়ুন- 'শুধু ভবানীপুর নিয়ে কেন কমিশনকে চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব', মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীকে থাকা পলির মধ্যে ওই ব্যক্তির পা আটকে গিয়েছিল। কিন্তু, বাংলা বা হিন্দি কোনও ভাষাতেই কথা বলতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর পরিচয়ও জানা সম্ভব হয়নি। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কীভাবে তিনি ওই গ্রামের মধ্যে এসে পৌঁছালেন তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। 

Police and BJP clash in NRS hospital during Abhijit Sarkar body handed over  RTB

Share this article
click me!