বাংলাতেই রয়েছে অ্যামাজনের মত চর, বিষধর সাপের সঙ্গে জীবন কাটান বাসিন্দারা

ভারত বাংলা সীমান্তের এক বিচিত্র ভূখণ্ড মুর্শিদাবাদের নির্মল চর এলাকা। বিষধর সাপের সঙ্গে জীবন বাজি রেখেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা

Parna Sengupta | Published : Sep 9, 2021 8:54 AM IST

পদ্মা নদীতে (river Padma) জল স্ফীতিতে (Water level) বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, বিষধর সাপের সঙ্গে জীবন বাজি রেখেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের (residents are isolated) মত দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা!

 ভারত বাংলা সীমান্তের এক বিচিত্র ভূখণ্ড মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নির্মল চর এলাকা। খানিকটা অ্যামাজনের মতই বিষধর সাপের সঙ্গে  সহাবস্থান করেই সেখানকার মানুষের জীবন কাটছে প্রতি মুহূর্তে। জীবনকে বাজি রেখে চলেছেন এখানকার বাসিন্দারা।

পদ্মা নদীতে জলস্ফীতির ফলে মুর্শিদাবাদের আখেরিগঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ  নির্মলচর এলাকা জলমগ্ন। ফলে নতুন করে জলে বন্দি হয়ে পড়েন শয়ে শয়ে মানুষ। শুধু তাই নয় ব্যাপকভাবে দেখা দেয় বিষাক্ত সাপের উপদ্রব। বিষধর সাপের সঙ্গে লড়াই করে ইতিমধ্যে জীবনযুদ্ধে হার মেনে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে দুই যুবকের। এছাড়াও নানা রকম অসুখে ভুগছে  শিশুরা। জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছেন বাসিন্দারা। 

এই ব্যাপারে স্থানীয় বিডিও মহম্মদ ওয়ারশিদ খান বলেন, সাপের উপদ্রবের বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে বিএমওএইচ-কে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বন্যার জল বৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ আখেরিগঞ্জ এলাকার ঘোষপাড়া, মহিষমারী, পাইকমারী, নির্মল চরের মত একাধিক গ্রাম। এর ফলে এলাকার ফসল যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ক্ষতি হয়েছে বাড়ির গৃহপালিত ছাগল গরুর। 

এমনিতেই করোনা বিধি নিষেধে এলাকার বড় অংশের মানুষ কাজ হারিয়ে চরম হতাশায় দিন গুনছেন। তার উপর এদিন আচমকা হু হু করে পদ্মার জল বাড়ার ফলে প্লাবনে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম বিপদের মুখে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে বিষধর সাপের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতেই বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠেছেন।

অন্যদিকে এলাকায় জল বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই ব্যাপারে এদিন স্থানীয় বাসিন্দা হারুন শেখ, মতিয়ার রহমানরা বলেন, সাপের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এলাকায় অন্তত পক্ষে ব্লিচিং ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিৎ।

অবশ্য স্থানীয় বিএমওএইচ উৎপল মজুমদার বলেন, এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে, জল পরিশোধনের জন্য ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানোর সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে কার্বলিক ছড়ানো এখনও সম্ভব হয়নি। 

Share this article
click me!