প্রায় মধ্যরাতে থানায় এল এক যুবক। পুলিশকর্মীদের সামনে গিয়ে তার স্বীকারোক্তি, বাড়িতে সে নিজের স্ত্রীকে খুন করে ফেলে রেখে এসেছে!
শনিবার রাতে এমনই ঘটনায় চমকে ওঠেন শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। যুবকের বয়ান অনুযায়ী শহরের মহাকাপল্লি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ির ভিতর থেকে তার স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীরও আগুনে পুড়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম স্বপন সাহা। তার স্ত্রীর নাম রুমা সাহা রায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি স্বপনের সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল রুমার। তারপর থেকে মহাকালপল্লির ওই ভাড়া বাড়িতেই থাকত দম্পতি। প্রতিবেশীদের অবশ্য অভিযোগ, কাজ থেকে ফেরার পরে প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ত স্বপন। দু' জনের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তার জেরেই এই খুন বলে এলাকাবাসীর অনুমান।
শনিবারও সন্ধে থেকেই ওই দম্পতির মধ্য বাদানুবাদ চলছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান। যদিও, ওই দম্পতি কারও সঙ্গেই সেভাবে মেলামেশা করত না। পুলিশকে স্বপন জানিয়েছে, বচসার পরে রাত এগারোটা নাগাদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীকে খুন করে সে। যদিও এখনও সেই অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের বিক্ষোভ সামলে কোনওক্রমে নিহতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউই থানায় যোগাযোগ করেননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ঘাতক অস্ত্রটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর শিলিগুড়ির মহাকাপল্লী এলাকায়। মৃতের নাম রুমা রায়। জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম স্বপন সাহা। পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চলছিল। এরপর ঘটে বিপত্তি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্বপন সাহা তার নিজের স্ত্রীকে খুন করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।
ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পরে স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কালঘাম ছোটে পুলিশের। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।