একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ খোদ পঞ্চায়েত প্রধান।
কোভিড পরিস্থিতির জেরে ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। আর এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে ১০০ দিনের কাজও। অনেকেই কাজ হারিয়ে ১০০ দিনের কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু, জব কার্ড ইস্যু করতে গিয়ে রীতিমতো অবাক হচ্ছেন স্থানীয়রা। এই প্রকল্পে জব কার্ড নাকি ভাড়ায় দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, মৃত ব্যক্তির জব কার্ড থেকে টাকাও তুলছেন অজানা কেউ। কখনও আবার জীবিত ব্যক্তিকে কাগজে কলমে মৃত দেখিয়ে তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনার বাড়ি। এমনই একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯, প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে ৮৬ জন
গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকের কাছেই বিষয়টি একেবারেই অজানা নয়। তাঁরা ভালো করেই জানেন যে পরিবারের মৃত ব্যক্তির জব কার্ড এখনও কেউ না কেউ ব্যবহার করছেন। এমনকী, তা থেকে তোলা হচ্ছে টাকাও। এই অভিযোগ উঠেছে সরাসরি পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা কৈবর্তের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগে দেওয়া হয়েছে স্বারকলিপিও। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসে দেখা যায়নি। যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ খোদ পঞ্চায়েত প্রধান।
আরও পড়ুন- সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন BDO সাহেব, চোখ কপালে উঠেছে চন্দ্রকোনার বাসিন্দাদের
প্রধানের বিরদ্ধে ১০০দিনের কাজে স্বজনপোষণ ও মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে তাঁর নামে জব কার্ড বানিয়ে টাকা তোলা-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি এলাকার কুমারী ডিভোর্সি দেখিয়ে সরকারি সুবিধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এছাড়া স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। যদিও তাঁদের অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি। দুর্নীতি যেমন চলার তেমনই চলছে।