স্ত্রীকে তিন তালাক কী দেওয়ার ভয়ঙ্কর পরিণতি, শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় মান গেল স্বামীর

Published : Jul 25, 2021, 09:25 PM IST
স্ত্রীকে তিন তালাক কী দেওয়ার ভয়ঙ্কর পরিণতি,  শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় মান গেল স্বামীর

সংক্ষিপ্ত

দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। তাতেই চোটে লাল মেয়ের বাড়ির আত্মীয়রা। স্বামীকে গণধোলাই দেওয়া হল। 

দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগে জামাইকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে গনধোলাই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। শুধু মারধরই নয়, হাত-পা বেঁধে গলায় পরানো হল জুতোর মালাও। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এমনই ছবি দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পাখির চোখ ২০২৪, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিল্লি সফর ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,  প্রায় বছর দুয়েক আগে গোয়ালপোখর ব্লকের গতি গ্রামপঞ্চায়েতের চারঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফিরোদার বিয়ে হয় পেশায় গাড়ি চালক সিন্ধো গ্রামের বাসিন্দা তৌফিক আলমের সাথে। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত বলে জানা গেছে।  শনিবার সেই বিবাদ চরমে ওঠে। এদিন রাতে তৌফিক বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে বাড়িতে না দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।  এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তৌফিকের স্ত্রী ফিরে এলেই তাকে মারধর করে এবং  তিন তালাক দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। মেয়ের উপর এই অত্যাচারের খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা এসে জামাই তৌফিকের সাথে আলোচনায় বসে।  আলোচনায় বসে সমাধান না হওয়ায় তাদের মেয়ে ফিরোদাকে নিয়ে চারঘরিয়া গ্রামে চলে যান তারা। 

ভয়ঙ্কর ভূমিধসের Viral Videoটি দেখুন, প্রাণ নিল ৯ পর্যটকের, ভাসিয়ে নিয়ে গেল একটি সেতু

UNSCOর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে ভারতের আরও একটি মন্দির, স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

এদিকে রবিবার সকালে ওই চারঘরিয়া এলাকায় নিজের দিদির বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যায় তৌফিক। সে সময় তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে ডেকে  নিয়ে গিয়ে তার হাত-পা দড়ি ও লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর শুরু হয় লাঠি দিয়ে গনপ্রহার। শুধু গণধোলাই নয়, জামাই তৌফিককে গলায় জুতোর মালা পড়িয়ে হাত পা বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও জনতার রোষে ফিরতে আসতে পুলিশকেও। এমতাবস্থায় গ্রামের মাতব্বরদের সালিশি সভার নিদানের অপেক্ষাতেই রয়েছেন তৌফিকের পরিবার।  যদিও অভিযুক্তদের পক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা পঞ্চায়েত সদস্য কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে ওই গ্রামে  এনিয়ে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

আমি সব দিক থেকে বাঙালি হতে চাই: কেন এমন কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
'বাংলায় বাবরি মসজিদ হতে দেব না' উলুবেড়িয়া থেকে হুমায়ুনকে চরম বার্তা শুভেন্দুর